বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] তাই ত্রাণে এনজিওদের সম্পৃক্ত করায় রাজনৈতিক দ্বিধা কাজ করেছে।
[৩] সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রমাণিত শক্তি হলো এনজিওগুলো। কিন্তু একটা কি বিশেষ কারণে তাদের দূরে রাখা হচ্ছে। সরকারের মধ্যে একটা অবিশ্বাস কাজ করছে। মনে হচ্ছে করোনা নিয়ে কোন জবাবদিহীতার মধ্যে যেতে চাচ্ছে না রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
[৪] তিনি বলেন, আমলা নির্ভর ত্রাণে একজন দরিদ্রকে ত্রাণ পেতে অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু মানুষের দরকার জরুরি ত্রাণের। এই ক্ষেত্রে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, এনজিওগুলোকে সরকারের কাজে সম্পৃক্ত করার। তাদের কাছে প্রকৃত ডাটা রয়েছে।তারা সচেতনামূলক কাজে আগে থেকেই সম্পৃক্ত। তাই সরকার কমিউনিটি রেডিও এই কাজে ব্যবহার করতে পারতো। দরিদ্রদের কাছে মোবাইল ফোনের পরিসেবায় এনজিওরা কাজ করতে পারতো।
[৫]এখন মনে হচ্ছে ত্রাণ কাঠামোর জবাবদিহীতায় দ্বিধা রয়েছে।কে ত্রাণ পাচ্ছে কে পাচ্ছে না। কেউ হয়তো ৩ বার পাচ্ছে আবার কেউ পাচ্ছেই না। কি ত্রাণ দেয়া হলো কাকে দেয়া হলো এর কোন হিসাব নাই। নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে অভ্যস্ত নয় তাদের জীবন কিভাবে কাটছে। তাদেও ত্রাণের কি ব্যাবস্থা হচ্ছে কোন কিছু নেই।
[৬] ড. দেবপ্রিয় গত সপ্তাহে সমস্ত এনজিওগুলোকে সরকারের ত্রাণ কার্যকমে যুক্ত করে একটি জাতীয় ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিলেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন অনেকক্ষেত্রে সহযোগিতা নিচ্ছে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :