সালেহ্ বিপ্লব : [২] এমনিতেই দুর্দিন চলছে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে। গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সিনেমা হল। এরই মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব ভীষণ সংকটে ফেলেছে এই শিল্পকে।
[৩] চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ১৫টি চলচ্চিত্র। কবে মুক্তি পাবে তা অনিশ্চিত। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
[৪] হল মালিকরা বলেছেন, এভাবে বন্ধ থাকলে সিনেমা হলের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবে। সিনেমা না চলায় স্টাফদের বেতনও পরিশোধ করতে পারছেন না তারা।
[৫] চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, এ অবস্থা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হয় তা বলা যাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের থাবায় ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনা ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছি না।
[৬] তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখতে চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা দিতে হবে। সরকার গার্মেন্ট শিল্পে যেভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে; চলচ্চিত্রও শিল্পেও সেরকমটা জরুরি। অন্যথায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাবে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প।
[৭] তিনি সিনেমা হলের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করারও দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :