এল আর বাদল : [৩] ইতালির রোমে ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হারের পরে দিয়েগো ম্যারাডোনার কান্না এখনও ভোলেননি ফুটবলপ্রেমীরা। এই ম্যাচটা হয়তো খেলতেই পারতেন না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। খেলা শুরু হওয়ার আগেই তাকে লাল কার্ড দেখানোর কথা ভেবেছিলেন মেক্সিকোর রেফারি এদগার্দো কোদেসাল।
[৪] কী হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরুর আগে? উরুগুয়ের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদগার্দো বলেছেন, ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় ম্যারাডোনা চিৎকার করে গালাগালি করছিলেন। এই অপরাধের জন্য ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই আমি ওঁকে লাল কার্ড দেখাতে পারতাম।
[৫] এখানেই শেষ নয়। মেক্সিকোর রেফারির অভিযোগ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তার সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এদগার্দোর কথায়, পেদ্রো মনসোনকে যখন আমি লাল কার্ড দেখাই, ম্যারাডোনা আমাকে শুধু চোর বলেই থেমে থাকেননি। ফিফা আমাকে অর্থ দেয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন। -ডেইলি মেইল
[৬] ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি ম্যারাডোনার খেলার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন এদগার্দো। বলেছেন, খেলার মধ্যে ম্যারাডোনা এমন কিছু করছিল, যা অনবদ্য। দেখেছিলাম, বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলে কীভাবে ওর হাঁটু বেলুনের মতো ফুলে গিয়েছিল। তাতেও খেলা থামায়নি। এর পরেই তিনি যোগ করেন, ফুটবলার হিসেবে ম্যারাডোনার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। মানুষ হিসেবে খুব খারাপ। -ইয়াহু স্পোর্টস
[৭] ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ০-১ হেরে গিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেছিলেন পশ্চিম জার্মানির আন্দ্রেস ব্রেহমে। ম্যাচের পরেই ক্ষুব্ধ ম্যারাডোনা রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন।
[৮] আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বলেছিলেন, আমাদের ফুটবলারদের যাবতীয় পরিশ্রম একাই শেষ করে দিয়েছেন রেফারি। আসলে ম্যাচটা টাইব্রেকারে যেতে পারে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ম্যারাডোনা আরও বলেছিলেন, রেফারির আসল লক্ষ্য ছিল ইতালির মানুষকে খুশি করা। এই কারণেই অন্যায়ভাবে পেদ্রোকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া পেনাল্টিটাও ছিল সম্পূর্ণভাবে ওঁর কল্পনাপ্রসূত।
[৯] ফাইনালে হারের পরে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ফাইনালের হারটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। দীর্ঘদিন আমি কেঁদেছি। তবে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হয়েছিলাম বলে আমি কাঁদিনি। যেভাবে আমাদের হারানো হয়েছিল, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। - লা রিপাবলিকা
আপনার মতামত লিখুন :