আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ অঞ্চল দক্ষিণ এশিয়া কোভিড-১৯ সক্রমণের ব্যাপারে বরাবরই সতর্ক করছিলেন। কিন্তু করোনাক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেই মৃত্যুহার বেশ কম। বিবিসি, দ্য হান্ট
[৩] প্রথম কোভিড-১৯ রোগী পাবার ২ মাস পর ভারতে কোভিড-১৯ রোগী ২৭ হাজার অতিক্রম করেছে। মারা গেছেন ৮০০ জনের বেশি। বাংলাদেশে শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। মারা গেছেন ১৫৫ জন। যা ইউরোপ এবং আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। অথচ এই দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলনামূলক দুর্বল।
[৫] পরিস্থিতি কতোটা খারাপ সারা বিশ্বেই তা বিবেচনা করা হচ্ছে মৃত্যুহার কতোদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে তার উপরে। ভারতে মৃত্যুহার দ্বিগুণ হচ্ছে ৯ দিনে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা আরও বেশি।
[৬] গবেষকরা বলছেন এটি অত্যন্ত ভালো খবর। একই পর্যায়ে নিউইয়র্কে মৃত্যু দ্বিগুণ হতে মাত্র ২ বা ৩ দিন লাগছিলো।
[৭] গবেষকরা বলছেন এই অঞ্চলে শুরুতেই লকডাউন দেয়া হয়েছিলো। তা কাজে লেগেছে। খালি চোখে অনেকেই ভাবছেন লকডাউন কড়াকড়িভাবে পালন হচ্ছে না। কিন্তু ইউরোপ বা আসেরিকার জনগনও পরিপূর্ণ ভাবে লকডাউন মানেননি। সুযোগ পেলেই ভেঙেছেন।
[৮] আরেকটি গবেষণা বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের জনসংখ্যায় তরুণদের পরিমাণ সারা বিশ্বেই সর্বাধিক। এটিও আসলে মৃত্যুহার কমাতে সহায়ক হয়েছে।
[৯] আরেকটি সম্ভাবনা বলছে, এই দেশগুলোতে ভাইরাসের যে স্ট্রেইন প্রবেশ করেছিলো তা ছিলো তুলনামূলক দূর্বল। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :