আনিস তপন: [২] করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে বাইরে থেকে যাতে শ্রমিকরা ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
[৩] বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, বানিজ্য সচিব এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ এর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
[৪] এটি একটি অনির্ধারিত বৈঠক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাবসায়ী নেতাদের সঙ্গে চলমান মহামারীতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, তাদের থাকা, খাওয়, আসা, যাওয়াসহ কারখানা খোলার পর কি কি সমস্যা হতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
[৫] তারা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করেই বিদেশে রপ্তানি যোগ্য পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত এবং জরুরি পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কিছু কারখানা খোলা হয়েছে। আরো কিছু কারখানা খোলার প্রয়োজন হবে।
[৬] সেক্ষত্রে কারখানা কর্তৃপক্ষ ঢাকায় যেসব শ্রমিক অবস্থান করছে তাদের দিয়েই কারখানা চালু রাখবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। তারা ঢাকার বাইরে থেকে কোনো শ্রমিককে আসতে উৎসাহিত করছে না এবং ঢাকায় যেসব শ্রমিক অবস্থান করছে তাদেরও বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করছে বলেও জানিয়েছেন।
[৭] কারখানা চালু রাখতে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
[৮] এছাড়া সরকারি নির্দেশনা মেনে মার্চের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ বেতন পরিশোধ করা হয়েছে এবং বাকিগুলোও তারাতারি পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে সেভাবেই এপ্রিলের বেতনও পরিশোধ করবে তারা বলেছেন।
[৯] পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিজেএমইএ এবং বিকেএমইএ পরীক্ষাগার স্থাপন করবে। সে বিষয়ে তারা দ্রুত কাজ করার কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
[১০] করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আসন্ন ঈদের সময়েও যাতে বাইরে থেকে ঢাকাতে কোনো শ্রমিক না আসে সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, শ্রমিকরা যাতে ঢাকার বাইরে থেকে না আসে এবং ঢাকা থেকে যেনো বেড় না হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :