মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভারে ভঙ্গুর অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রোবার থেকে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতির না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের গ্রাম থেকে না আসার কথা বলেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
[৩] সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানান।
[৪] তবে কোনো কোনো কারখানার মালিকের পক্ষ থেকে সব শ্রমিকদের আসার জন্য বলা হয়েছে। এতে করে চাকরি রক্ষার জন্য গ্রাম থেকে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে চলে আসার খবার পাওয়া গেছে।
[৫] এর আগেও ৫ এপ্রিল পায়ে হেঁটে আসা শ্রমিকদের ঢল দেখা গিয়েছিলো। সে সময়ে সকল পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা পায়ে হেঁটে, ভ্যান রিকশায় চেপে, লঞ্চ ফেরিতে নদী পার হয়ে, শেষ অবধি ট্রাকে চেপে ঢাকা ও এর আশপাশে আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসে। সেই সময় পোশাক খাত সমালোচনার মুখে পরে।
[৬] বিকেএমইএর সহসভাপতি বলেন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পর্যায়ক্রমে খুললেও এ মুহূর্তে দূর দূরান্ত থেকে শ্রমিক ভাই বোনদের কর্মস্থলে না ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো যতটুকু আমাদের দ্বারা সম্ভব আমরা গ্রহণ করেছি।
[৭] তিনি বলেন, জীবন জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করতে হবে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে রোববার থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নীটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট খুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। ২ মে থেকে গার্মেন্টস শাখাও খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।