ইসসমাঈল আযহার: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لِلصّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبّهِ.
রোযাদারের জন্য দুটি বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি হল, ইফতারের সময়। অপরটি হল, যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে (আর তিনি তাকে বিশাল পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করবেন)। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১
রোযাদার দিনভর আল্লাহ্র হুকুমে উপবাস থাকার পর যখন আল্লাহ্র হুকুম মোতাবেক ইফতারি নিয়ে বসে তখন তার মনে অন্যরকম আনন্দ এবং অপার্থিব প্রশান্তির এক ঢেউ খেলে যায়। আর কিয়ামতের ময়দানে যখন সে রবের নিকট থেকে এর প্রতিদান গ্রহণ করবে ওই মুহূর্তটিও তার জন্য হবে অবারিত আনন্দের।
রোযাদার ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার নিকট এতটাই মহব্বতের পাত্র যে, সে কিছু চাইলে আল্লাহ পাক তা ফিরিয়ে দেন না। নবীজী বলেন,
ثَلاَثَةٌ لاَ تُرَدّ دَعْوَتُهُمْ: الصّائِمُ حَتّى يُفْطِرَ، وَالإِمَامُ العَادِلُ، وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللهُ فَوْقَ الغَمَامِ وَيَفْتَحُ لَهَا أَبْوَابَ السّمَاءِ وَيَقُولُ الرّبّ: وَعِزّتِي لأَنْصُرَنّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ.
তিন ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোযাদারের দুআ ইফতার পর্যন্ত। ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুআ। ৩. মজলুমের দুআ। আল্লাহ এ দুআকে মেঘমালার উপরে নিয়ে যান। এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেন। রব বলেন, আমার ইযযতের কসম, বিলম্বে হলেও আমি তোমাকে সাহায্য করব। জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৯৮; সুনানে ইবনে মাজাহ
আপনার মতামত লিখুন :