সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান এক বিবৃতিতে আরও বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরো দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনের ঝুঁকিকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানা সমূহ খুলে দেবার প্রক্রিয়া শুরু করায় বিআইপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
[৩] তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কারখানাতে যোগ দেবার নির্দেশনা পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গার্মেন্টস কর্মীরা ঢাকা ও এর আশেপাশের কারখানাতে যোগ দেবার জন্য পাঁয়ে হেঁটে ও অন্যান্য মাধ্যমে আসা শুরু করছেন। এর আগেও গার্মেন্টস খোলা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে শ্রমিকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় আসায় ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝূঁকি তৈরি হয়। যা বিষয়টি জনগণের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
[৪] ড. আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, বিআইপি মনে করে, বর্তমান বাস্তবতায় অধিকাংশ শিল্প কারখানার জন্য কারখানার অভ্যন্তরে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ। একইসাথে শ্রমিকরা বস্তিসহ নিম্ন আয়ের আবাসন এলাকায় অতিঘন পরিবেশে যেভাবে জীবন-যাপন করেন, সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। শিল্প-কারখানা চালু করা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবার বিষয়টির বহুমাত্রিকতা আছে। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে হলে পরিকল্পনার সকল অনুষঙ্গ বিবেচনায় নেয়া উচিত। আর সেকারণেই কল-কারখানার অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবার পাশাপাশি, শ্রমিকদের বাসস্থানের অভ্যন্তরীণ বসবাসের পরিবেশ, শ্রমিকদের কর্মস্থলে যাতায়াত এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করবার বিষয়সমূহ এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিবেচ্য হওয়া প্রয়োজন।
[৫] রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :