শরীফ শাওন : [২] ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলবেধে আসছে পোশাক শ্রমিক, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় [৩] মালিক সংগঠনগুলোর দাবি, তাদের আসতে বলা হয়নি।
[৩] নৌপুলিশ দৌলতদিয়া ঘাটে গত দুদিনে ৭ হাজার শ্রমিককে ফেরত পাঠাতে সমর্থ হয়। দৌলতদিয়া ঘাটের দুই টিকিট বিক্রেতা করোনায় শনাক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের কাছ থেকে যারা টিকিট সংগ্রহ করেছে তারাও করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাটের নৌপুলিশ ইনচার্জ সুমিত চৌধুরী বলেন আমাদের কাছে নির্দেশনা রয়েছে কোনো শ্রমিক যেন ঢাকায় যেতে না পারে।
[২] আশপাশের এলাকা থেকে ময়মনসিংহ সদরে আসতে ১০ থেকে ১৫টি যানবাহন পরিবর্তন করতে হয় শ্রমিকদের। এরপরও কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে তারা ঢাকা ছুটতে থাকেন। রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পোশাক শ্রমিকরা ফেরিতে করে দলবেধে ছুটতে থাকে ঢাকার দিকে।
[৩] শ্রমিকরা জানান, কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারখানা চালু করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে যেতে না পারলে চাকরি থাকবে না। এছাড়া বেতন ও বোনাস পাওয়া যাবে না। একারণে বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
[৪] বিজিএমইএর সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ জানান, শুধুমাত্র কারখানার আশেপাশে থাকা কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চালু করা কারখানাগুলোতে শ্রমিকের উপস্থিতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন ধীরগতিতে কারখানাগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দূর দূরান্তে যাওয়া কর্মীদের কারখানায় না আনতে মালিকদের বলা হয়েছে।
[৬] বিকেএমইএর সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতিম বলেন, সদস্য কারখানা মালিকদের প্রতি সংগঠনের নির্দেশ, দূর দূরান্ত থেকে কোনো শ্রমিক নিয়ে আসা যাবে না। যারা কারখানার আশপাশে রয়েছে তাদেরকে দিয়েই ছোট পরিসরে কাজ শুরু করতে হবে। কারখানাগুলোতে ৩০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি বাড়ানো যাবে না। অনুপস্থিতির জন্য কারও চাকরিও যাবে না।
[৭] তিনি বলেন, নিটিং, ডাইয়িং এবং স্যাম্পল সেকসনে কর্মরত লোকসংখ্যা খুব কম। তাই ২৬ এপ্রিল থেকে এগুলো চালু করা হয়েছে। ২ মে থেকে বাকি কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। তবে জরুরি কার্যাদেশ থাকলে, স্বল্প পরিসরে কারখানা খুলতে পারবে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :