দেবদুলাল মুন্না:[২] এফডিএ কমিশনার স্টিফেন এম হান গত রোববার সিএনএনকে বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের ওপর এই ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে যখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে তখন সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা বুঝতে পারছি স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার সন্ধান করছেন। কিন্তু সেই চিকিৎসায় যাতে কোনও ক্রুটি না থাকে সেজন্য আমরা তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি জানিয়ে রাখছি। আমাদের মনে হচ্ছে এ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগী করোনা থেকে মুক্তি পেলেও অন্য সমস্যায় মারা যেতে পারেন।
[৩] এফডিএ জানায়, সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে তদন্ত ও পর্যালোচনা অব্যাহত রাখবে। আরও বেশি তথ্য পাওয়া গেলে তা প্রকাশ করা হবে।
[৪]যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি দাবি করেন, করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধ ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে।
[৫]সাউথ এশিয়ান মনিটর জানায়,হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ওষুধগুলি মূলত ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বেশ কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ম্যালেরিয়ার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে ওষুধটি। এর পাশাপাশি যাদের আর্থারাইটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একই জেনেরিক নামের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সালফেট ওষুধটি দেওয়া হয়, যা এফডিআই দ্বারা স্বীকৃত। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :