মাহমুদুল আলম :[২] মৌলভীবাজারে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে গত শুক্র ও শনিবার রাতে নতুন ৩ জনের খবর পাওয়া যায়। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুসারে নতুন আক্রান্ত ৩ জনের একজন জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার। এই রোগীর মাধ্যমে মুলত শ্রীমঙ্গলে প্রথম করোনা ধরা পড়লো। আক্রান্ত এই ব্যক্তি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। শ্রীমঙ্গলের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। পরিবার থাকে ঢাকায়।
[৩] 'ভয় নয় সবাই মিলে করোনাকে করব জয়' - লিখে সাহস জুগিয়ে শ্রীমঙ্গলে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাসায় ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। শ্রীমঙ্গলে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি যেন নিজেকে একা মনে না করেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন তাই বারবার যোগাযোগ রাখছেন শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক।
[৪] সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, এই রোগী নিজ থেকে গিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন এবং তার শরীরে করোনা উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। মানসিক শক্তি যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে বা বিপদে সবচেয়ে কার্যকরী। তাই, সবসময় তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে এবং তার কিছু লাগবে কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আপাতত উনার বাসায় সব কিছু আছে তবুও যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি এবং শনিবার বিকেলে ওই ব্যক্তির জন্য পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ফলের একটি ঝুড়ি পাঠানো হয়েছে। করোনা পজিটিভ আসা ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে সুস্থ আছেন। তবে, বাসাটি লকডাউন আছে। আরটিভিঅনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
[৫] এ বিষয়ে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, 'প্রথমত রোজা শুরু হয়েছে, তার ওপর আক্রান্ত ব্যক্তি একা একা থাকেন। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির মনোবল শক্ত রাখার জন্য শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছি এবং লিখে দিয়েছি 'সবাই মিলে করোনা করব জয়'।