শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেন? ◈ সান্তোসে নেইমারের রাজসিক প্রত্যাবর্তন ◈ আখেরি মোনাজাত চলাকালে ‘ড্রোন আতঙ্ক, আহত অন্তত ৪০ ◈ গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ ◈ সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব  ◈ বাংলাদেশের জন্য আবারও ১২০ কোটি রুপির সহায়তা বরাদ্দ রাখলো ভারত ◈ গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা ◈ ছেলের বিয়ে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আটক ◈ ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো ছড়ালেন নন্দিনী, উপহার পাঠালেন তারেক রহমান ◈ টাকা জমা রাখলে কোন ব্যাংকে কত মুনাফা পাবেন জেনে নিন

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মানুষ খাবার না পেলে অপরাধ বাড়বে, বললেন সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে ঘরে থাকার বিকল্প পথ নেই। সামাজিক দূরত্ব বা ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে এটিই একমাত্র উপায়। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর মানুষ প্রায় এক মাস ধরে ঘরে থেকেছে।

[৩] এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই ছুটি আরও বাড়ানো হলে তারা ঘরে থাকবে কিনা। যারা দিনমজুর, প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন সংগ্রহ করে জীবনযাপন করেন, তাদের ঘরে খাবার নেই। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তাদের সবার ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের দাবি- এরই মধ্যে তিন কোটি মানুষকে রিলিফ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা তো প্রায় ছয় কোটি। কাজেই প্রত্যেকের ঘরে খাবার পৌঁছানো সরকারের পক্ষে কঠিন কাজ। তার পরও সরকারের উদ্যোগ সফল হলে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

[৪] তিনি বলেন, আমরা দেখছি- ঘরে খাবার না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন। তার মানে বাস্তবতা হলো সবাই খাবার পাচ্ছে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা থাকলে তারা ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করবে। তখন তাদের করোনার ভয় দেখিয়েও ঘরে রাখা যাবে না। পেটে ক্ষুধা থাকলে বাধ্য হয়ে অনেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। কাজ নেই খাবার নেই- এমন পরিস্থিতি হলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে অনেকেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। অন্তত এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা গেলে তাদের ঘরে রাখা সম্ভব হবে। প্রতিটি এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। এটি করা না গেলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছি। এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন শহীদুল হক।

[৫] সাবেক এ আইজিপি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখার মূল দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করছে। পুলিশ সদস্যরা নিজেদের বিপদের কথা ভুলে ভাইরাস বহন করছে এমন সন্দিগ্ধ ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলছে। করোনায় আক্রান্তদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা ছিল তাদের খুঁজে বের করছে পুলিশ। তাদের সংস্পর্শে গিয়ে পুলিশ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

[৬] দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সাধারণ সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়টি তদারকি করবে। সদস্যদের সুরক্ষার সব ধরনের যত ইকুইপমেন্ট আছে সব কিছুর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়