শেখ সাইফুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধি : [২] মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পবিত্র রমজানে এ বছর বাগেরহাটে প্রায় ২,৫১৪টি মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজ পড়ানো হচ্ছে না। এর সাথে জড়িত প্রায় ৫ হাজার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে।সাধারনত মুসল্লীদের দানেই চলে এসব পরিবার।
[৩] আর এই দানের অংশ থেকেই বেতন হয় ইমাম,হাফেজদের।করোনাভােইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে বসে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত দেন সরকার। এতে বেশিরভাগ মুসল্লীরা ঘরে বসেই নামাজ পড়েন ঘরে বসেই। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি না থাকায় ইমাম ও হাফেজরা তাদের বেতন পাচ্ছেননা। বেতন না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কস্টে রয়েছেন। এ সামান্য বেতন দিয়ে তাদের কোনো রকমের জীবন চালিয়ে যেতে হয়।
[৪] আবার খতম তারাবিহ নামাজ বন্ধ থাকায় ওই সব কুরআনে হাফেজদের এক মাসের আয় রোজাগার থাকছে না। । করোনার কারনে প্রায় মসজিদে মসজিদে এ বছর খতম তারাবিহ পড়ানো হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রতিটি মসজিদে ১২ জনের বেশী মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন-সরকারি ভাবে এমন সংখ্যা বেধে দেওয়ার পর বাগেরহাটে অধিকাংশ মসজিদেই খতম তারাবিহ নামাজ আদায় করা হবে না।
[৫] ভাইজোড়া জামে মসজিদের সভাপতি মোতালেব ফকির জানান, এলাকার মুসল্লীদের চাঁদার টাকায় আমাদের মসজিদ চলে। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেনা এবং মাসিক চাঁদাও দেয় না, তাই আমরা ইমামদের বেতন দিতে পারছি না। একারনে আমাদের ইমাম এখন মসজিদে আসতে চাচ্ছে না।
[৬] ভাইজোড়া জামে মসজিদের ইমাম বলেন, গত মাসের বেতন এখন পর্যন্ত দেয়নি। চলতি মাসে মসজিদ কমিটি কি করবে জানি না। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লীরা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের যদি সাহায্য করতো তাহলে হয়তো দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতাম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :