সময় টিভি অনলাইন : ইসরায়েলের শীর্ষ ধর্মযাজকরা এ মুহূর্তে দেশ ছেড়ে অন্যকোথাও যেতে চাচ্ছেন না, কারণ তাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুত মসীহর (দাজ্জাল) আগমনকে স্বাগত জানাতে পারবেন না! সম্প্রতি ইসরায়েলি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটিই জানালেন দেশটির একজন ধর্মযাজক। তিনি জানান, মসীহ খুব শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
রাব্বি ইয়াকুব জিশলজ ধর্মভিত্তিক রেডিও ২০০০ কে দেয়া তিন ঘণ্টার ওই সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ ধর্মযাজক চেইম ক্যানিভস্কি আমাকে বলেছেন ইতিমধ্যে মসীহর সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাতও হয়েছে। এরপরই আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ ইসরায়েলের আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি কমিউনিটিতে ধর্মযাজক চেইম ক্যানিভস্কিকে শীর্ষ দুই-তিনজনের একজন মনেকরা হয়।
ইয়াকুব জিশলজ বলেন, ‘রাব্বি চেইম ক্যানিভস্কিসহ আধ্যাত্মিক কারণে গোপন থাকা ধর্মযাজকরা এখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন মসীহর আসন্ন আগমনের বিষয়টি জনগণের কাছে প্রচার করার জন্য।’ একটি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে ইয়াকুব জিশলজ বলেন, ‘শিগগিরই পরিত্রাণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এবং সেটি খুব দ্রুতগতিতে চলবে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণকে শান্ত এবং দৃঢ় থাকতে হবে, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা যায়। প্রত্যেক প্রজন্মেই একজন সম্ভাব্য মসীহ থাকেন ওই প্রজন্মের সঠিক জ্ঞানসম্পন্ন লোকেরাই তাকে সঠিকভাবে চিনতে পারে। আমাদের প্রজন্মের সেই মসীহ আসছেন এটিই সত্য।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে আমাদের জন্ম-মৃত্যু যেভাবে হচ্ছে মসীহ এখন তার চেয়েও বেশি কাছে। আপনি কি গগ এবং মাগগের (ইয়াজুজ-মাজুজ) কথা শুনতে পাননি? সেটাও চলে আসবে। ঠিক এ মুহূর্তে পরিস্থিতি বিষ্ফোরণণ্মুখ, আপনি যতোটুকু চিন্তা করতে পারছেন তার চেয়েও বেশি। প্রত্যেকেরই এখন জানা উচিত সে কি এ জন্য প্রস্তুত থাকবে? না বিষয়টিকে এমনিতেই ছেড়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধর্মযাজকরা মসীহ আত্মপ্রকাশের অনেক নিদর্শনও ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছেন, যা তারা লিখে রেখেছেন। ফলে মসীহ আত্মপ্রকাশের প্রমাণগুলো পেয়ে তারা বিষয়টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। রাব্বি ডভ কুকের ধর্মীয় জ্ঞান ও নীতিবোধ সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। তিনি আমাদের প্রজন্মের সর্বোত্তম মানুষগুলোর একজন। দশবছর আগে ইসরায়েলে যখন মারাত্মক খরা চলছিলো তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো গ্যালিলি সমুদ্র আবার কবে অথই পানিতে ভরে যাবে। রাব্বি কুক বলেছিলেন, যখন মসীহ আসবেন তখন এ সমুদ্র কানায় কানায় পূর্ণ হবে। সেই গ্যালিলি সমুদ্র কয়েক সপ্তাহ আগে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
ইহুদি জাতির কাছে এ মসীহ হচ্ছেন দাজ্জাল। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স.) এর হাদীস অনুযায়ী কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে দু'জন মসীহ আসবেন। একজন ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) বা ঈসা মসীহ, যিনি হবেন সত্যের ধারক। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং কিয়ামতের আগে আবার আসবেন। আর অন্যজন মসীহ দাজ্জাল, যে হবে মিথ্যুক এবং সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী।
অন্যদিকে ইহুদিরা মনে করে, ঈসা (আ.) আর আসার সুযোগ নেই। তাদের হিব্রু বাইবেলে আসা প্রতিশ্রুত মসীহর আগমন এখনো ঘটেনি। সে আসবে এবং বিশ্বের সব ইহুদিদের একস্থানে এনে সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। ফলে ইহুদিরা তাদের সেই মসীহর আগমনের জন্য পৃথিবীকে প্রস্তুত করছে।
মুহাম্মদ (স.) একইভাবে বলে গেছেন মিথ্যুক দাজ্জাল হবে ইহুদিদের নেতা এবং তাদের নিয়েই সে সারাবিশ্বে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে। যাকে হত্যা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন ঈসা (আ.)।
আপনার মতামত লিখুন :