সোহেল রহমান : [২] অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইনে কিংবা এটি পরিবর্তন করে খেলাপি ঋণ আদায় বাড়ানো সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় খেলাপি ঋণের আদায় বাড়াতে ‘অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩’ সংশোধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
[৩] এই আইনে খেলাপি ঋণের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। এটি আরও যুগোপযোগী করা হবে।
[৪] প্রসঙ্গত, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও আদায় বাড়াতে গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কিন্তু এগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
[৫] এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০০ কোটি টাকা বা এর অধিক খেলাপী ঋণ কেসগুলো তদারকির জন্য প্রতিটি ব্যাংকে একটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি কেন্দ্রীয় তদারকি সেল গঠন।
[৬] বড় ঋণ খেলাপীদের হাল নাগাদ তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ নোটিশ বোর্ড কিংবা দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা
[৭] উচ্চ আদালতে ব্যাংকের ঋণ সংশ্লিষ্ট রীট মামলাগুলো দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পৃথক বেঞ্চ গঠন ইত্যাদি।
[৮] অন্যান্যের মধ্যে খেলাপী ঋণ আদায়ে ঢালাওভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না করে ব্যাংকগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে শাখার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই মোতাবেক ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং প্রতি তিন মাস পরপর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
[৯] এছাড়া খেলাপী ঋণ আদায়ে সফলতার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান এবং ক্ষেত্র বিশেষে ব্যর্থতার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং এটি তাদের এসিআর-এ প্রতিফলনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :