শিরোনাম
◈ আরও একটি নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ◈ জিল্লুর রহমানের যত অভিযোগ সাবেক দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে! ◈ মালয়েশিয়ায় ৪০ বাংলাদেশি নারী-শিশুসহ ৫১ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার ◈ জুলাই বিপ্লবের ১শ' দিন পরও আহতদের চিকিৎসার রোডম্যাপ দিতে পারেনি : উমামা ফাতেমা(ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্র, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু ◈ এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সামনে দুটি পথ : ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন ◈ পুকুর থেকে মাছ চুরি করে কোটিপতি! ◈ কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না সেন্ট মার্টিনে: রিজওয়ানা হাসান ◈ দেশে চালু করা হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তাড়াশে ব্লাস্ট রোগে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ

হাদিউল হৃদয়, তাড়াশ প্রতিনিধি : [২] আবাদের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন রোগবালাই ছিল না। কিন্তু এখন ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে গোড়া থেকে কালো হয়ে শত শত হেক্টর জমিতে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়ে কোনো কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ধান চাষের মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর। এর মধ্যে চাষ হয়েছে ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা আবাদ করেছেন উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৩৬, মিনিকেট, ভারতীয় জাত গুটি স্বর্ণা, কাটারিভোগ ও স্থানীয়জাত নাটোর, রণজিৎসহ বিভিন্ন প্রকার ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে।

[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভোগলমান, আড়ঙ্গাইল, আসানবাড়ী, কোহিত তেঁতুলিয়া, বিনসাড়া, তালম, পাড়িলগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমির ধানের শীষ মরে যাচ্ছে।

[৫] উপজেলার পাড়িল গ্রামের কৃষক সেলিম বলেন, আমার কাটারি ভোগের ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। ভাদাসের কৃষক মানসুর রহমান ও আসানবাড়ীর কৃষক মো. শাহ আলম বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এমনিতে আমরা উপার্জনহীন। তার ওপর ধানক্ষেতে দেখা দিয়েছে গলা পচা, শীষ মরা রোগ। এ রোগ যদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পথে বসতে হবে। এ ছাড়া ভাদাসের আরেক কৃষক মো. আব্দুল মজিদ অভিযোগ করেন, কৃষি অফিসের লোকজনকে খুব একটা পাওয়া যায় না।

[৬] কিন্তু কৃষি বিভাগ বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মমিনের দাবি, কৃষকরা তাঁদের পরামর্শ মেনে চলেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করেন। ফলে নানা বিপত্তি দেখা দেয়। যেমন ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হলে প্রতি বিঘায় তিন ঢোপ (১৬ লিটার) স্প্রে করতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ১০ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে এ নিয়ম কৃষক মানতে চায় না। এ ছাড়া ধান রোপণ পদ্ধতি, সার-বালাইনাশকের পরিমাণও তাঁরা নিজের রীতিতে করে থাকেন।

[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে কিছু কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। খবর পাওয়ার পরপরই আমরা মাঠ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিয়েছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়