রাজু আলাউদ্দিন : [২] করোনা পরিস্থিতি এবং গরমের কারণে লেবুর চাহিদা ও দাম বেশি হলেও খুশি নেই মানিকগঞ্জের কৃষকেরা। লকডাউনের সুযোগে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষষের চাষ করা এ রসালো ফলের বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
[৩] স্থানীয় লেবু ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিটি লেবু তিন জনের হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে। এতে আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া লকডাউনের কারণে দাম আরও কম দিচ্ছে। ফলে কৃষকেরা তেমন লাভ পাচ্ছেন না। মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষ হয়। সামনে রোজা ও ভরা মৌসুমে অধিক লাভের আশায় বাগানে বাগানে আগাছা পরিষ্কার, ডাল ছাটাই ও সার প্রয়োগসহ পরিপক্ব লেবু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গাছ থেকে সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষক। মানিকগঞ্জে এলাচি, কাগজি ও কলম্বো জাতের লেবু চাষই বেশি। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনও হয়েছে কম। আর করোনার কারণে হাটে ও আড়তে না নিতে পারায় বিপাকে পড়ছেন কৃষক। এ সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অর্ধেক দামে কিনে দ্বিগুণ মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
[৪] তারা বলেন, উৎপাদন ভাল। আমরা শুনতে পাচ্ছি লেবুর অনেক দাম কিন্তু আমরা তো সেই দাম পায় না। লেবু বাছাই, গণনা ও পরিষ্কার করার কাজে পুরুষের পাশাপাশি ব্যস্ত পরিবারের শিশু ও নারীরাও। তিনজনের হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোতে আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাই বেশি লাভবান হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
[৫] তারা বলেন, অল্প দামে কিনে ওরা লাভ করছে। আমরা যেভাবে কিনি তাতে আমাদের লাভের চিন্তা করাও যায় না। এ জন্য কৃষক পর্যায়ে বাজার ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ী করছেন জেলার শীর্ষ কৃষি কর্মকর্তা মো. শাজাহান আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করার দরকার আছে। নিতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে ভাবতে হবে।
[৬] জেলায় ১৯৫ হেক্টর জমিতে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন পর পর ২ কোটি ৪০ লাখ ৮২ হাজার লেবু উৎপাদনের আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :