সাইদ রিপন : [২] স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জরিপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০১৯ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এলজিইডি’র ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০৭টি উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে এ জলাবদ্ধতা দূর করে জমিতে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ এলাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বছরব্যাপী প্রবাহমান ক্ষুদ্র ও মাঝারি নদীতে ২৫টি রাবার ড্যাম তৈরি করে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং পরিবেশবান্ধব সেচ সুবিধা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
[৩] এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দেশের পল্লী অঞ্চলের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে পল্লী অবকাঠামোসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য ২০০৫-৩০ সাল মেয়াদে একটি দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তদানুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলজিইডির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৭ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার (উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ) সড়ক নির্মাণ/পুননির্মাণ/পুনর্বাসনসহ ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৫ মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ ও পুনর্বাসন করা হয়েছে।
[৪] অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ি, সারাদেশে চার হাজার ৩৩৩টি গ্রোথ সেন্টার/গ্রামীণ হাট বাজার উন্নয়ন, ২৫ হাজার ১৩৬ কিলোমিটার সড়কে বৃক্ষরোপন, তিন হাজার ২৭২টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ২০১০টি উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ, নয় হাজার ২২০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
[৫] সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এলজিইডি’র আওতায় জেলা, উপজেলা পর্যায়ে পৌরসভাসহ নগর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২৮টি প্রকল্প চলমান আছে। এছাড়া রাজধানীর যানজট নিরসনে ইতোমধ্যেই ঢাকাতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :