মাহমুদুল আলম: [২] চলমান করোনা সংকটে বাংলাদেশ বা ভারতের মতো দেশের করণীয় প্রসঙ্গে এই মত দেন নোবেলজয়ী এই বাঙালি অর্থনীতিবিদ। প্রণোদনার টাকা ৬০ - ৭০ শতাংশ দরিদ্রের হাতে পৌঁছালেও, এমনকি কিছু টাকা বেহাত হলেও না ভেবে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
[৩] দারিদ্রের কারণ এবং তা দূরীকরণে বিভিন্ন নীতির কার্যকারিতা ও প্রভাব নিয়ে জীবনভর কাজ করা অধ্যাপক অভিজিৎ ব্যানার্জি চলমান সংকটে আমেরিকার উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, আমেরিকা টাকা ছাপছে, ছেপে খরচ করছে। কারণ এখন অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে লোকের হাতে পয়সা নেই। তারা যদি খরচ না করে তাহলে কিছু কিনবে না, না কিনলে যাদের কাছ থেকে কিনবে তাদের হাতে পয়সা থাকবে না ইত্যাদি। তারা টাকা ছাপাচ্ছে, ছেপে খরচ করছে। বরং ভারতবর্ষ বা বাংলাদেশ অনেক বেশি দ্বিধাবিভক্ত। আমরা এখনো স্থির করতে পারিনি যে, কতটা টাকা ছাপানো উচিৎ হবে।'
[৪] প্রণোদনাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ বা ভারতের প্রেক্ষাপটে অভিজিৎ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যাদের পাওয়া উচিৎ তেমন অনেক লোক পাবেন না। কিন্তু ৬০ - ৭০ শতাংশ দরিদ্রের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। এই লোকজনও তো বেচাকেনা করবে।’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু টাকা যদি বেহাত হয়ও তাতে কী হয়েছ! এতো মাথা ঘামানোর সময় এটা না। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়।’
[৫] একাত্তর টিভির অনুষ্ঠান ‘বাসায় থাকি’তে সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নবনীতা চৌধুরীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই মত প্রকাশ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লকডাউন থেকে একবার যখন অর্থনীতিকে ছেড়ে দেয়া হয় তখন খুব তাড়াতাড়ি তা উঠে যায়। আমরা জানি জার্মানিতে যুদ্ধের পরে বা জাপানে যুদ্ধের পরে বা ভিয়েতনামে যুদ্ধের পরে খুব তাড়াতাড়ি অর্থনীতিটা উঠে গিয়েছিল। বেশি দিন লাগেনি। জানি না, এটা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কিনা।’
আপনার মতামত লিখুন :