সময় টিভি : [২] কোনো প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজবাহী ট্রাক-কার্গো ড্রাইভার ও তরমুজ ব্যবসায়ীরা বিভিন্নস্থানে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মতো ঝুঁকিপূর্ণ যায়গায় তরমুজ সরবরাহ করে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে উপকূলীয় এলাকায়। তবে তরমুজ বিক্রির জন্য দু'টি স্থান নির্ধারণ করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
[৩] পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, কলাপাড়া, দশমিনা ও পটুয়াখালী সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক বংশ পরমপরায় তরমুজ চাষ করছেন। এখানকার তরমুজ কোন সার বা ওষুধ ব্যবহার না করেই ক্ষেতে শুধুমাত্র পানি দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করায় মিষ্টি বেশি। এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম,খুলনাসহ সারাদেশে ট্রাক ও কার্গোযোগে তরমুজ সরবরাহ করা হয়। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি ঠেকাতে কেউ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গেলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আর করোনা রোগীর সংস্পর্শে কেউ গেলে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের এমন নির্দেশনা থাকলেও মানছেননা তরমুজবাহী ট্রাক-কার্গো ড্রাইভার ও ব্যবসায়ীরা। বাইরে তরমুজ সরবরাহ শেষে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে নিজ এলাকাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে ঝুঁকি বাড়ছে জেলায়।
[৪] পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ জাহাংগীর আলম, তরমুজ বিপণণের সঙ্গে যেসব ড্রাইভার ও শ্রমিক আছেন, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তরমুজ বিক্রির দুইটি স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি ট্রাক ড্রাইভারসহ তরমুজ মালিকদের পর্যাপ্ত সেনিটারি ব্যবস্থা রাখার কথা জানালেন জেলা প্রশাসনের এ শীর্ষ কর্মকর্তা। আইরিন ফাতেমা
আপনার মতামত লিখুন :