রাজু আলাউদ্দিন :[২] তীব্র জনবল সঙ্কটে মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো। ১৪ দিন কাজ, ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের বিধির কারণে সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের বড় অংশ করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে আসছেন না। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আউটসোর্সিং-এর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
[৩] হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে, সহায়ক জনশক্তির সঙ্কটও তীব্র হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কুয়েত মৈত্রী ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসকের তুলনায় কর্মী কিছুটা বেশি থাকলেও অন্য কোভিড হাসপাতালে কম বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসক ও কর্মীদের ১৪ দিন টানা সেবা দিয়ে পরের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
[৪] চিকিৎসকরা বলেন, ১৪ দিন হাসপাতাল চালানো খুব দুঃসাধ্য। আবার ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে গেলে চিকিৎসককে আর পাচ্ছি না। সাধারণ হাসপাতালে কাজ করার জন্যে যে জনবল দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি জনবল লাগবে। সমস্যা সমাধানে কর্মহীন নার্স, ওয়ার্ড বয়, টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোভিড হাসপাতালগুলোতে পদায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
[৫] স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, যেহেতু প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ক্লিনিক গুলোতে দক্ষ জনবল রয়েছে। সেখানে রোগীর সংখ্যা নাই। তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে। ভবিষ্যতে যখন সরকারি চাকরির জন্যে সার্কুলার হবে তখন তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রয়োজনে আউট সোর্সিং-এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, যেসব জায়গায় সঙ্কট আছে, পর্যায়ক্রমে সেগুলো পূরণ করা হচ্ছে।
[৬] প্রায় সব কোভিট হাসপাতালে সহায়ক জনশক্তির সংখ্যা চিকিৎসকের সংখ্যার সমপরিমাণ। নিয়মানুযায়ী তিনগুণ না হলেও চিকিৎসকের সংখ্যার বিপরীতে দ্বিগুণ সহায়ক জনশক্তি নিশ্চিত করা না গেলে কোভিড ঊনিশ রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দেয়া কঠিন হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :