ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক মানুষ ও যানবাহনের চলাচল। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও।
[৩] রাজধানীর লকডাউন এলাকাতেও খোলা রয়েছে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট। জরুরি সেবার বাইরে সেলুন, চায়ের দোকান, রং, ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে। মুদি দোকানে রয়েছে ক্রেতার ভিড়। বিভিন্ন সড়কে ও গলির মুখে রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। এছাড়াও অনেক সড়কে বসে কাজের অপেক্ষা করছেন শ্রমিক, দিনমজুর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাইকিং করছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা।
[৪] সকাল থেকে মিরপুর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, তেজকুনিপাড়া, পান্থপথ, ধানমন্ডি, লালবাগ, হাজারীবাগ, বংশাল, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, মহাখালী, উত্তরাসহ প্রায় সব এলাকায় সেনা বাহিনী ও পুলিশী টহল দেখা গেছে।
[৫] এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বুধবার সন্ধ্যার পর অলিগলিতে যুবক ও তরুণদের আড্ডা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মিরপুর শেওড়াপাড়া, শামীম স্মরনী, মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর যুবকদের আড্ডা ছিল চোখে পড়ার মত। এছাড়াও খিলগাঁও তিলপাপাড়ার ১ ও ২ নম্বর তারাবাগ গলিতে সকাল থেকে রাত অবধি উঠতি বয়সি যুবকদের মিলনমেলা ঘটে। তবে পুলিশ আসলে আবার ফাঁকা হয়ে যায়।
[৬] অপরদিকে রাজধানীর প্রবেশ পখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানকে ছাড় দেয়া হলেও অহেতুক চলাচলকারীরা ছাড় পাচ্ছেন না। তবে অনেকের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার প্রবণতা দেখা গেছে।
[৭] আমিনবাজার, পোস্তগোলা, আব্দুল্লাহপুর, সায়দাবাদ এলাকার ঢাকার প্রবেশমুখে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। এই ব্যারিকেড পার হয়ে কোনো ব্যক্তি বা গাড়ি আসতেও পারছে না, যেতেও পারছে না। সবাইকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ অফিস খোলার কথা বলছেন, কেউ ব্যাংকে যাবেন আবার কেউ বা হাসপাতালে যাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :