ইয়াসিন আরাফাত : [২] গত দুই দশক ধরে আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ায় ব্যাপক সামরিক তৎপরতা চালালেও আজ পর্যন্ত কোনো সাফল্যই তারা অর্জন করতে পারেনি। পার্সটুডে, মিডিলিস্ট আই
[৩] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারকালে এবং ক্ষমতায় আসার পরও বহুবার পশ্চিম এশিয়ার ব্যাপারে মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এ অবস্থা বেশিদিন অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়।
[৪] সর্বশেষ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়ায় আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করা মার্কিন প্রশাসনের বোকামির পরিচয় উল্লেখ করে দাবি করেছেন, যেহেতু ওয়াশিংটন তার আরব মিত্রদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে সে কারণে তাদেরকেই এ ব্যয় বহন করতে হবে।
[৫] গত বছর অক্টোবরেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার উপস্থিতি অনেক বড় ভুল ছিল। তিনি বলেন, 'আমরা ইরাক যুদ্ধে চার ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পশ্চিম এশিয়ায় আগমন আমাদের বড় ভুল ছিল। আমরা এ পর্যন্ত আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি এবং আমাদের হাজার হাজার সেনা নিহত হয়েছে।
[৬] কিছুদিন আগেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়ার ব্যাপারে সাবেক সরকারগুলোর নীতির সমালোচনা করে বলেছেন ওই ভ্রান্ত নীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে আমেরিকার বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
[৭] ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আমেরিকা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার অজুহাতে পশ্চিম এশিয়ায় ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটায়। প্রথমে তারা আফগানিস্তান এবং এরপর ২০০৩ সালে ইরাক দখল করে। এ অজুহাতে তারা এ অঞ্চলে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা ছাড়াও এ পর্যন্ত বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। এরপর আমেরিকা একই অজুহাতে পশ্চিম এশিয়ার আরো দেশ বিশেষ করে সিরিয়া দখলের দিকে মনোনিবেশ করে।
[৮] পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকা আসলে নানা অজুহাতে সৌদি আরবের কাছ থেকে তেল বেচা ডলার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ কাজে তারা ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :