ইয়াসিন আরাফাত : [২] করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গণ পরিবহণ ও জনসমাগম। এই পরিস্থিতিতে ইউনেস্কোর শিক্ষা শাখার প্রধান স্টেফানিয়া গিয়োনিনি দাবি করেছেন, লকডাউনের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫৪ কোটি শিক্ষার্থী প্রভাবিত হবে। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
[৩] স্টেফানিয়া বলেন, বছরের শিক্ষা মৌসুমের সময়েই সংক্রমণের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল। এই ঘটনায় প্রভাবিত হবে কিশোরী শিক্ষার্থীরা। বাড়বে স্কুলছুটের সংখ্যা। সামাজিক ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য বড় আকার ধারণ করবে। যৌন নিপীড়ন, বাল্য বিবাহ কিংবা মাতৃত্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হবে কিশোরী শিক্ষার্থীরা।
[৪] এক সাক্ষাৎকারে স্টেফানিয়া বলেন, বিশ্বজুড়ে মোট শিক্ষার্থীর ৮৯% লকডাউন চলার কারণে স্কুল যেতে পারছে না। স্কুল আর বিশ্ববিদায়লয় মিলিয়ে প্রায় ১৫৪ কোটি শিক্ষার্থী ঘরে বসে। যাদের মধ্যে ৭৪ কোটি ছাত্রী। এই ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। যেখানে শিক্ষার মৌলিক অধিকার একটা লড়াইয়ের মতো। পাশাপাশি যারা শরণার্থী শিবিরে রয়েছে, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া তাদের কাছে আরও কঠিন। পিটিআই
[৫] তার পরামর্শ, অধিকাংশ দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু তাদের একটু ভাবা দরকার সঙ্কট কাটলে ছাত্রীদের ওপর যে প্রভাব আসবে, তা সামলানোর কৌশল কী? এই নিয়ে আগে থেকেই একটি সমাধান খুঁজে বের করা দরকার কৌশল নির্মাতাদের।
আপনার মতামত লিখুন :