শিরোনাম
◈ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হয়েও দুবাইতে খেলতে যাওয়ায় ঠাট্টা ও বিদ্রুপের শিকার পাকিস্তান ◈ শেখ হাসিনাকে ৩ বছর আগেই সতর্ক করেছিলাম, আমার কথা রাখলে এভাবে পালাতে হতো না: কর্ণেল অলি ◈ সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হলো আউটসোর্সিংকর্মীদের ◈ পাকিস্তানে স্টেডিয়াম হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান মহারণ রোববার ◈ 'ভারত কিছু একটা করবে' এই ভরসায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ◈ চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ গ্রেফতার ৩  ◈ নেতা–কর্মীদের ‘বিশেষ’ তালিকা করছে পুলিশ. অনেকের জামিনে সরকারের উচ্চমহলে উদ্বেগ ◈ সেনাবাহিনীতে বিশেষ পেশায় জনবল নিয়োগ ◈ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টাঙ্গাইলে পেটের দায়ে লকডাউন ভেঙে কাজ করছে তাঁত শ্রমিকরা

আরমান কবীর : [২] সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক তাঁত শ্রমিক পেটের দায়ে লকডাউন ভেঙে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে সারাদিন তারা লকডাউনে থেকে ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত তাঁতে কাপড় বুনছেন।

[৩] জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনায় সকল শিল্প-কারখানা বন্ধ ঘোষণাও করা হয়। এতে সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার তাঁত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। তাদের ঘরে ১০-১৫ দিনের খাবার ও যৎসামান্য জমানো টাকা ছিল। তাই দিয়ে কিছুদিন চলার পর তারা তাঁত মালিকদের হাতে-পায়ে ধরে মজুরির আশায় কাপড় বুনছেন। তারা এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোন অনুদান বা ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা পাননি।

[৪] কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলী গ্রামের তাঁত শ্রমিক আনোয়ার, মনির, ওমরসানী, আব্দুর রশিদ সহ অনেকেই জানান, তাদের ঘরে যে খাবার ও জমানো টাকা ছিল লকডাউনের কারণে তা শেষ হয়েছে। তারা কোন প্রকার ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা পাননি। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মা-বাবা রয়েছে। তাই কারখানা মালিকের হাতে-পায়ে ধরে তাঁতে কাপড় বুনতে এসেছেন। মজুরি পেলে তারা বাড়ির জন্য খাবার কিনবেন।

[৫] স্থানীয় তাঁত মালিক শাহজামাল, সোলেমান, রওশন আলী, আইয়ুব আলী সহ অনেকেই জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে তারাও লকডাউনে আছেন। কিন্তু তাদের ঘরে কিছু ভেজা সুতা ও কাঁচামাল রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার না করলে নষ্ট হয়ে যাবে। এদিকে শ্রমিকদের খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা কাজ করতে আসছে। শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে পাশপাপাশি কাঁচামালগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

[৬] কাকুয়া ইউনিয়ন প্রাথমিক তাঁতি সমিতির সভাপতি মো. শামসুল আলম জানান, তাদের এলাকার প্রায় দেড় হাজার তাঁত শ্রমিকের ঘরে খাবার নেই। অপেক্ষাকৃত দরিদ্রদের তালিকা করে তিনি তাঁত বোর্ডের বেসিক সেন্টারে জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোন সহায়তা তারা পাননি। তিনি জানান, খাবার না পাওয়ায় লকডাউন বা সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি শ্রমিকরা মানতে পারছে না। শ্রমিকরা মূলত পেটের দায়ে তাঁতে কাপড় বুনছেন।

[৭] তাঁত বোর্ডের টাঙ্গাইল বেসিক সেন্টারের লিয়াজোঁ অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, চরপৌরী এলাকার কর্মহীন তাঁত শ্রমিকদের তালিকা করে তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন। অচিরেই ওই এলাকার তাঁত শ্রমিকরা খাদ্য সহায়তা পাবে।  সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়