লাইজুল ইসলাম: [২] বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০টি, বিতরণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ ও মজুদ আছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯০২টি। প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার পিপিই সংগ্রহ করা হয়। বিতরণও এরকমই করা হয়।
[৩] ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন বর্তমানে আমরা উন্নত মানের পিপিই সংগ্রহ করতে পারছি। এগুলো আমদানি নির্ভর। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলো কোভিড-১৯ হাসপাতাল গুলোতে দেওয়া হয়। মাস্ক বিভিন্ন ধরণের হাতে আছে। ইতমধ্যে এন৯৫/কেএন৯৫ বা এ৫২ এই লেবেলের মাস্ক এক লাখ হাতে মজুদ আছে। যেগুলো আমরা কোভিড-১৯ হাসপাতালে সরবরাহ করছি।
[৪] ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, মহানগর হাসপাতালে গ্লাভস সংক্রান্ত একটি ঝামেলা হয়েছে। যেই গ্লাভস দেখানো হচ্ছে তা কোনো ভাবেই সিএমএইচডি থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে না। মহানগর থেকে আমরা একটি নমুন সংগ্রহ করেছি। এই গ্লাভস আমরা কোনো ভাবেই দিচ্ছি না। এগুলো বিভিন্ন সংস্থা দান করছেন হাসপাতালগুলোতে। দেখতে অনেকটা প্লাস্টিকেরমত। এগুলো ছবি তুলে সিএমএইচডির কথা বলা হচ্ছে যা ঠিক না। সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
[৫] ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, আমরা যেগুলো সরবরাহ করি সেগুলোর মান যথাযথ ভাবে পরীক্ষা করা হয়। আমরা যেগুলো দেই সেগুলো সার্জিক্যাল গ্লাভস। এটাই আমরা সরবরাহ করি। বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা সামগ্রী গ্রহণ করে থাকেন। এটা উদ্বেগ জনক। যেটা চিকিৎসকরা জানেন না। অনেক সময় ছবি তুলে তারা পাঠায়। অনুদান হিসেবে গ্রহণ করলে জাচাই করে নিন ও চিকিৎসকদের জানান।
ঔষধাগারে পরিচালক জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার সার্বক্ষণিক যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনার জন্য প্রস্তুত। কাঙ্খিত মনে দ্রব্যাদি কিনে সবাইকে চিকিৎসা দিতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :