শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি : [২] বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সাগর পথে রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের দুই মাস্টারমাইন্ড কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেরিটাইম মালয়েশিয়ার এনফর্সমেন্টের হাতে আটক ২০০ রোহিঙ্গা পাচারের মূলহোতা দুই রোহিঙ্গা মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
[৩] মূলত গত ৫ এপ্রিল সাগর পথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় আটক করা হয় ২০২ জন রোহিঙ্গাকে এবং তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানাজায়, মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অপেক্ষায় আছে আরো বহু রোহিঙ্গা। আর ওইসব রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের কন্টাক করা হয় কক্সবাজার থেকে এবং মালয়েশিয়ার অবস্থান করা দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে সাপ্লাই করার দায়িত্ব রয়েছে। সেই তথ্যর ভিত্তিতে ব্যাপক সর্তকতা অবস্থান করে মালয়েশিয়ার নেভি ও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
[৪] যার কারণে গত ১৬ এপ্রিল সাগর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে আরো ২ শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। যার মধ্যে ৬০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয় বলে এপপি থেকে জানানো হয়।
[৫] এদিকে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশের মাস্টারমাইন্ডের খুঁজতে থাকে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে ১৭ ও ১৯ এপ্রিল পৃথক অভিযানে মালয়েশিয়ার কেডাহ থেকে (ইউএনসিএইচআর) রোহিঙ্গা শরণার্থী কার্ড ধারী দুই জন মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করে।
[৬] মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক মেরিটাইম দাতো 'মোহাম্মদ জুবিল বিন ম্যাট মানব পাচারের সাথে জড়িত দুই জন মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ল্যান্ড এজেন্টদের কাছে কল করে তারা মানব পাচারের সাথে যোগাযোগ রাখত এবং গ্রেপ্তারকৃতরা দুই জন নিকট আত্মীয়।
[৭] তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ব্যবহার করে তাদের পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছিল কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী তাদের গতিবিধি নজর রেখে চলছিলো এবং তাদের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়।
[৮] এসময় তিনি আরো আরোএকজন মানব পাচারকারীকে ধরতে গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে মালয়েশিয়ার মেরিটাইম ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন মূল সন্দেহভাজন এবং এখনও উত্তর উপদ্বীপের আশেপাশে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এমন আরেক সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধানে রয়েছে। সন্দেহভাজনরা কেডাহ, পেনাং এবং জোহর রাজ্যে থাকতে পারে বলে মনে করছেন।
[৯] এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাগর থেকে ফিরিয়ে দেয়ায় মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের তীব্র আলোচনা করেছে। তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাগর থেকে ফিরিয়ে দেয়া মানে তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া। আমরা আশা করব মালয়শিয়া সরকার যেন তাদের প্রতি সহায় হয়। সম্পাদনা : এইচ
আপনার মতামত লিখুন :