ভিকটর কে. রোজারিও : [২] মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমবায়ী প্রতিষ্ঠান দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি. ঢাকা-এর সেক্রেটারি আরও বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে সরকার সমবায়ের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজর দিলে প্রান্তিক ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি সত্যিকার উপকারভোগী হবে। তা হলো: ব্যাংক বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩ থেকে ৫ শতাংশ সুদের মাধ্যমে অর্থ যোগান দেয়া, সমবায় সমিতির আয়ের উপর সরকারের নির্ধারিত ১৫ শতাংশ ট্যাক্স রহিত করা।
[৩] বর্তমানে সারাদেশে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯ শত ৩০টি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির সমবায়ে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৪৩ হাজার ১শ’ জন। (তথ্য: সমবায় অধিদপ্তর)।
[৪] সমবায় সমিতির বিভিন্ন প্রডাক্ট ও প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট উপকরণ ও সুবিধার সুফল লাভ করছে সারা দেশের মানুষ। দেশের আর্থিক উন্নতি ও অর্থনীতির বুনিয়াদ মজবুত করতে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। করোনার কারণে বিভিন্ন শিল্প, কারখানা ক্ষতির মুখে পড়ার পাশাপাশি সমবায়ও বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
[৫] দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষই সমবায় সমিতির সদস্য। সমবায় সেক্টরই হতে পারে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। সমবায় এমন একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে সরকার করোনাকালীন প্রণোদনা দিলে প্রান্তিক মানুষের কাছে তা স্বচ্ছ ও সহজে পৌঁছে যাবে।
[৬] তাই সমবায় প্লাটফর্মের দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে, সমবায় সেক্টরকেও সেই প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :