আবুল বাশার নূরু: [২] সুস্থ ব্যক্তিদের পবিত্র জুমা, পাঁচ ওয়াক্তের জামাত ও তারাবিহ আদায়ের জন্য নামাজের সময় সকল মসজিদ খোলা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ আলেমরা। এক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত মানার জন্য মসজিদ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[২] মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে আলেমরা এ আহবান জানিয়ে বলেন, পবিত্র রমজানুল মুবারক মাস রহমত ও নাজাতের মাস। করোনাসহ সমস্ত বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য এ মাসের সদ্ব্যবহার একান্ত জরুরি।
[৪] তারা মসজিদ খোলা রাখার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত দিয়ে বলেন-মসজিদে কার্পেট, জায় নামাজ বা গালিচা বিছানো যাবে না; জুমার বয়ান, খুতবা, জামাত ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং নামাযের আগে বা পরে মসজিদের ভেতরে বা সামনে জড়ো হওয়া যাবে না; পঞ্চাশোর্ধ বয়সের মুসল্লি এবং ১২/১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের বালক মসজিদে আসবে না; যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে, যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন কিংবা যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন তারা মসজিদে আসবে না; যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত তারা মসজিদে আসবেন না; যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তারাও আসবেন না; পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক, স্যানেটাইজ ইত্যাদি দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবে এবং ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখবে।
[৫] আরো শর্ত হচ্ছে-মুসল্লিদের দু‘জনের মাঝে অন্তত দুই ফুট পরিমাণ জায়গা ফাঁক রেখে দাঁড়াতে হবে; বাসা থেকে অজু করে যেতে হবে এবং হাত ও পা ভালোভাবে ধুয়ে মুছে যেতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। পরস্পর হাত মিলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে; সম্মিলিত ইফতারের আয়োজন করা যাবে না; মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম সাহেবদের প্রশাসনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য প্রতি মসজিদে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করতে হবে।
[৬] এ সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কিংবা কোনো এলাকায় আক্রান্ত সংখ্যা অস্বাভাবিক হয়ে গেলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন।
[৭] বিবৃতিদাতারা হলেন- আল্লামা শাহ আহমদ শফি, চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, কো-চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি মো: ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপর), মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :