ডেস্ক রিপোর্ট: [২] করোনাভাইরাস সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো বিজ্ঞানীদের অজানা। এই ভাইরাসের আসল উত্স কী, কেন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র বারবার দাবি করছে, চীনের ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। আর সেই তথ্য লুকাচ্ছে চীন। তবে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
[৩] তবে প্রায় এক বছর আগে এই ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ‘ব্যাট ওম্যান’ নামের পরিচিত উহানের ওই ল্যাবরেটরির এক গবেষক।
[৪] উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির অন্যতম প্রধান গবেষক শি ঝেংলি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। বাদুড়ের এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি ‘ব্যাট ওম্যান’ হিসবেও পরিচিত।
[৫] ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি ঝেংলি ১১ মাস আগেই এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর শি ও আরও তিন গবেষক মিলে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। মার্চ মাসে সেই গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে আসে। সেখানেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, সার্স, মার্স ও সোয়াইনের পর ফের করোনাভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মাত্র তিনদিন পরই নতুন করোনাভাইরাসের জিন নিয়ে তথ্য সামনে এনেছিলেন এই নারী গবেষক। কিন্তু তার উপদেষ্টারা তাকে চুপ করিয়ে রাখেন।
ওই গবেষক লিখেছিলেন, সার্স কিংবা মার্সের মতো করোনাভাইরাস ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। আর চীন থেকেই তা ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। গোড়া থেকেই সতর্কতা নেওয়া হলে, সংক্রমণ কমানো যেতে পারে।
[৬] ওই গবেষণাপত্রে স্পষ্ট লেখা ছিল, চীনারা তাজা মাংসই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর বলে মনে করেন। আর এই খাদ্যাভাসই সংক্রমণের কারণ হয়ে ওঠতে পারে। বেইজিং নিউজর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালেই শি ও তার টিম আবিষ্কার করে যে, মানুষ বাদুড় থেকে সরাসরি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।
[৭] চীনের ভাইরাস কালচার কালেকশনের কেন্দ্র এই গবেষণাগার। বলা যেতে পারে, এটাই এশিয়ার বৃহত্তম ভাইরাস ব্যাংক। যেখানে ১৫০০ ধরনের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইবোলার মতো ভাইরাস নিয়েও গবেষণা করা হয়। যেসব ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, সেরকম ভাইরাস রয়েছে এই গবেষণাগারে।আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :