মনিরুল ইসলাম: [২] জনসংখ্যা এবং জনঘনত্ব দু’টোই বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম। এর কারণ জানতে প্রয়োজন গবেষণা।
[৩] ‘সাউথ এশিয়া ইকনমিক ফোকাস’-এর তৈরি একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলির করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত বিশদ পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে রিপোর্টে। সূত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।
[৪] সোমবার কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকার অন লাইন সংস্করণের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকা, ইউরোপ, এমনকি চীনেও এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্রুত। কিন্তু শুধু ভারত নয়, সার্কভুক্ত গোটা অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ততটা দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি করোনাভাইরাসকে।
[৫] রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি এই প্রবণতা শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে তা হলে গোটা বিষয়টি আরও গভীর গবেষণার দাবি রাখে।
[৬] রিপোর্টে আরো বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পশ্চিমা দেশগুলির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের গতি কম মনে হওয়ার অন্যতম কারণ অবশ্যই কম ভাইরাস-পরীক্ষা। তবে আগে থেকেই এই ভূখণ্ডের মানুষের কতটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সার্ক-এর এই ৮টি দেশে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে যে সব কড়াকড়ি করা হয়েছে, সেই কারণেও ভাইরাস কম ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
[৭] চার দিন আগে প্রকাশিত রিপোর্টে যে খতিয়ান রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট আক্রান্তের মাত্র ১১ শতাংশ ৮টি সার্কভুক্ত দেশের। জনঘনত্ব এখানে অনেক বেশি। পৃথিবীর মাত্র ৩ শতাংশ ভূখণ্ড জুড়ে থাকা এই দেশগুলিতে থাকেন বিশ্বের ২১ শতাংশ মানুষ। তা সত্ত্বেও বিশ্বের মোট করোনা-মৃত্যুর ১ শতাংশেরও কম ঘটেছে এই ভূখণ্ডে।
[৮] তবে রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পরীক্ষা বাড়ানোর পরেও দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা আক্রান্তের যে সংখ্যা আসছে, সেটিও বিশ্বের অন্য প্রান্তের তুলনায় অনেক কম। পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ৯.৫৪ শতাংশ করোনা পজ়িটিভ। বাংলাদেশে তা ১০.০৬ শতাংশ। শ্রীলঙ্কায় পরিস্থিতি এতটাই ভাল যে আগামিকাল থেকে স্বাভাবিক জনজীবন শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :