সোহেল রহমান : [২] ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’ বলেছে, চলমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, তারা এই ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
[৩] সংগঠনটির মতে, করোনা মহামারীর কারণে দেশের ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) বাস্তবায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
[৪] প্রসঙ্গত, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বিশ্বগড়ে তুলতে ১৭টি লক্ষ্য নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
[৫] তবে সরকারের মতে, এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে ৩৪টি লক্ষ্য অর্জন করতে হবে কিন্তু মূল লক্ষ্যমাত্রা ১৭টি হলেও এগুলো বাস্তবায়নে আরও বহু ধাপ অর্জন করতে হবে বাংলাদেশকে।
[৬] সংশ্লিষ্টদের মতে, এসডিজি বাস্তবায়নে ১৭টির মধ্যে ৬টি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। অবশিষ্টগুলোর অর্জনের গতি অতোটা সন্তোষজনক নয়। এক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতার অভাব ও তথ্যগত ঘাটতিই প্রধান বাধা বলে মনে করছেন তারা।
[৭] পরিকল্পনা কমিশনের হিসাবে, এসডিজি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৯২ হাজার ৮৪৮ কোটি ডলার (৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ৮৫ দশমিক ১১ ভাগ অর্থ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যোগাড় করতে হবে।
[৮] বিপুল পরিমাণ এই অর্থায়নের জন্য সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। এজন্য বছরে গড়ে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রয়োজন। এর বিপরীতে দেশে বছরে এফডিআই প্রবাহের গড় পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :