কিশোর সরকার : [২] নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ আবেদনে বলা হয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী নৌ-যানের শ্রমিকরা দায়িত্বপালন করলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। নদী সাঁতরিয়ে শ্রমিকদের বাজার করতে হচ্ছে।
[৩] করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ায় নারায়নগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে কাঞ্চন, বক্তাবলি থেকে পাগলা বাজার পর্যন্ত প্রতিটি ঘাটই ঝুঁকিপূর্ণ । এছাড়া নোয়াপাড়া, নগরবাড়ি ঘাট, বাগাবাড়ী, ঢাকার গাবতলি, আমিন বাজার ঘাটেও লেবার মাথায় করে জাহাজের মাল খালাস করছেন। যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
[৪] নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরেও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সারা পাচ্ছে না। স্থানীয় মানুষের দ্বারা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা।
[৫] যে সমস্ত শ্রমিক বেতন পাচ্ছেন তারা তাদের পরিবার পরিজনের জন্য টাকা পাঠানোর জন্য ঘাট এলাকায় কোন বিকাশ বা রকেট এর এজেন্ট পাচ্ছেন না। অনেকের বেতন ব্যাংকের একাউন্টে জমা হলেও ওঠানোর সুযোগ না পেয়ে অসহায় পড়েছেন।
[৬] যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হলে এই মালিকরা বেশিরভাগ স্টাফকে মৌখিক ছুটিতে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন যাদের অনেককেই এখনও পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয় নাই। যারা জাহাজে আছেন তাদেরকে নামে মাত্র খোরাকী চালিয়ে রাখলেও বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :