তৌহিদুর রহমান : [২] জেলার নাসিরনগরের ধরন্তি হাওর, শাপলা বিল, লইস্কা বিলসহ চারিদিকে হাজার হাজার একর জমিতে সোনালী ফসলের আভা।
[৩] করোনার প্রভাবে ব্যাপকভাবে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে জেলায়। অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসতে পারছে না।
[৪] কৃষকরা বলছেন, কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়েই ধান ঘরে তুলতে কোনোরকমে কাজ করছেন। ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
[৫] কৃষক রহমত আলী ও আমির হোসেন বলেন, জমির কাছে এসে পাকা ধান দেখে বুকটা হাহাকার করছে। কীভাবে ফসল ঘরে তুলব- বুঝতে পারছিন না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোরকমে ধান কাটা চালিয়ে যাচ্ছি।
[৬] কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার হেক্টর হাওড়ের ফসল রয়েছে। জমির ধান থেকে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮শ ১০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬শ কোটি টাকা।
[৭] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মো. রবিউল হক মজুমদার বলেন, দুর্যোগময় পরিস্থিতি কৃষকের জন্য আসলেই বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রমিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কথা জানানো হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ
আপনার মতামত লিখুন :