সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হতদরিদ্রদের ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সকল দল-সামাজিক শক্তি মিলে গণতদারকি কমিটি গঠন করুন।
[৩] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি, লকডাউন এর মধ্যেই ‘সারাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ২৫ দিন ধরে মানুষ কর্মহীন, রোজগারহীন অবস্থায় ঘরে বন্দি হয়ে আছে। দরিদ্র, অতিদরিদ্র, নিন্মবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারের ত্রাণ সহায়তা খুবই অপ্রতুল ও চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ দোষে দুষ্ট। ঢাকা এবং বাইরের জেলায়ও ত্রাণের জন্য মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে, অবরোধ করছে।
[৪] তিনি বলেন, একদিকে অপ্রতুল ত্রাণ সামগ্রী অন্যদিকে সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীদের ত্রাণের চাল, ডাল, তেল চুরি ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এহেন চুরি-দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। রিলিফ চোরদের পেছনে রয়েছে রাঘব বোয়ালেরা, তাই এই চোরেরা মনে করে তাদের আশ্রয়দাতারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তাদের বের করে নেবে, বাঁচাবে।
[৫] খালেকুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী রিলিফ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দিলেও ত্রাণ চুরি বন্ধ হচ্ছে না, প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। অন্যদিকে চুরি থামাতে না পেরে জনসমাগমের মিথ্যা অজুহাতে ওএমএস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এযেন মাথা ব্যাথায় মাথা কেটে ফেলার মতো।
[৬] শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :