লিহান লিমা: [২]এই পরিকল্পনার আওতায় আসছে মাসগুলোতে অঙ্গরাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে গর্ভনরদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরা
[৩] স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ‘ওপেন আপ আমেরিকা এগেইন’ পরিকল্পনার ঘোষণায় ট্রাম্প গর্ভনরদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় তারা এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
[৪] ট্রাম্প প্রশাসনের জারিকৃত ১৮ পৃষ্ঠার এই নীতিমালার তিন স্তরের প্রতিটি পর্যায়ের সময়সীমা হবে ১৪ দিন করে। প্রথম স্তরে বর্তমান লকডাউনের আওতায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ ও জনাকীর্ণ স্থানে জড়ো হতে না বলা হয়। তবে এতে জানানো হয় রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় স্থান, খেলাধুলোর স্থান কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিশ্চিত করে চালু করা হবে।
[৫]যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হার বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া না যায় তবে দ্বিতীয় স্তরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ চালু করে দেয়া হবে। এর আওতায় কক্ষের ধারণক্ষমতার মান রক্ষা করে স্কুল ও বারগুলো খুলে দেয়া হবে।
[৬] তৃতীয় স্তরের পরিকল্পনায় জনসংযোগের ওপর বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হবে। বার, বৃদ্ধাশ্রম ও হাসপাতালগুলো পুনরায় চালু করে দেয়া হবে।
[৫] ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামনে পরবর্তী যুদ্ধ হলো আমেরিকাকে পুনরায় চালু করা। আমেরিকানরা আমেরিকাকে পুনরায় চালু হতে দেখতে চায়। জাতীয় শাটডাউন কখনোই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না।’
[৬] ট্রাম্প আরো বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলবে। ট্রাম্প মাদক, এ্যালকোহল গ্রহণ, হৃদরোগ ও অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।’
[৭]এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প যতটা সহজভাবে এ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন বাস্তবতায় এটি ততটাই দীর্ঘমেয়াদী হবে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩০১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ও ৩২ হাজার ১৮৬ জন মারা গিয়েছেন। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :