শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার প্রভাবে কন্টেইনার জট ব্যাপক আকর ধারণ করেছে

কিশোর সরকার : [২] এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার কন্টেইনার পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কমলাপুর কন্টেইনার ডিপোতে।

[৩] করোনভাইরাদের কারণে দেশের প্রায় সব কলকারখানা বন্ধ। তাই জরুরি প্রয়োজনয় ছাড়া আমদানি করা কাঁচামালবাহী কন্টেইনার সরবরাহ নিচ্ছেন না আমদানিকারকরা। আর রাখার জায়গা না থাকায় কমে গেছে কন্টেইনারবাহী ট্রেন চলাচল ও বন্দরে খালাসের কাজ।

[৪] চট্টগ্রাম সমুদ্রর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেছেন, বর্তমানে ১৮৯৮৪টি কন্টেইনার খালাস হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। বর্তমানে ডেলিভারি নেয়া হচ্ছে খুবই সামান্য। জট তৈরি হওয়ার কারনে বন্দরে ভেড়া জাহাজ থেকেও সেভাবে কেন্টেইনার খালাস করা সম্ভব যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে কন্টেইনার রাখার জায়গা তৈরির জন্য ঢাকার পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালে ৩০০ কন্টেইনার পাঠানো হয়েছে।

[৫] একই অবস্থা কমলাপুর রেল স্টেশন কন্টেইনার ডিপোতে। ৪৭০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ ডিপোতে বর্তমানে সাড়ে চার হাজার কন্টেইনার এসে পড়ে আছে। এছাড়া ৩০০ কন্টেইনার চট্টগ্রাম লাইনে ট্রেনের র‌্যাকে ওঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে। একটি ট্রেনের র‌্যাক কমলাপুর ডিপোতে অনলোডের অপেক্ষায়।

[৬] রেলওয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ট্রাফিক) মিয়াজাহান বলেন, রাখার জায়গা না থাকায় কন্টেইনাবাহী ট্রেন চলাচলও কমে গেছে। ২৫ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৫৭টি কন্টেইনার ট্রেন চলাচল কথা থাকলেও চলেছে মাত্র ৪৯টি কন্টেইনার ট্রেন। গত দু’দিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে কোনো কনটেইনারবাহী ট্রেন কমলাপুরে আসেনি।

[৭] তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আন্তনগরসহ সকল ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ট্রেন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে এবং কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়