হাদিউল হৃদয়, তাড়াশ প্রতিনিধি : [২] করোনা ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশের সকল হাট বাজার যান চলাচল এমনকি রিক্সা চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে বিপযস্ত ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে নিম্নআয়ের মানুষেরা। বিশেষ করে দিনমজুর, রিক্সা চালক ও কুলিরা। দরিদ্র দিনমজুর ও রিক্সা চালকদের সরকার এবং বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ সামগ্রী দিলেও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
[৩] বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চৈত্র মাসের প্রখর রোদের তাপ উপেক্ষা করে পৌর এলাকার আলেপ মোড়ে, উত্তর ওয়াবদার বাধ, বারোয়ারী বটতলা, হাসপাতল গেট, গোডাউন মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজের সন্ধানে বসে আছেন।
[৪] গত কয়েকদিনেও স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও কিছু ব্যক্তি উদ্দ্যেগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলে ও বাজারেরর সেই শ্রমিকরা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার পৌর বাজারের কুলি শ্রমিক গোলাম মোস্তফা, কাওছার, রতন, রবিউল ইসলাম বলেন, প্রায় দু সপ্তাহ বাজারের দোকান বন্ধ থাকায় কোন কাজ করতে পারছিনা আমরা প্রতিদিন কাজ করে যে অর্থ পাই তা দিয়ে চলে আমাদের সংসার। সরকারের কোন সহযোগিতা এখনও পাইনি।
[৫] তাড়াশ কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদেক আলী জানান, উপার্জন বন্ধ থাকায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার যন্ত্রণা শ্রমিকদের কাছে করোনা সংক্রমণের ভয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় শ্রমিকদের জন্য দ্রুত ত্রান সহায়তা করার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
[৬] তাড়াশ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন বিষটি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হছে শীঘ্রই ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
[৭] এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই তালিকা প্রস্তুত করে বিতরণ শুরু করেছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :