মতিনুজ্জামান মিটু: নাট বা বাদাম জাতীয় ফসল কাজু বাদাম খুবই মজাদার এবং পূষ্টিকর। আর দামের দিক দিয়েও এটিকে বলা হয় রিচম্যান ফুড বা ধনী মানুষের খাদ্য। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলায় অনেক আগে থেকে কাজুবাদাম চাষ হয়ে আসছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ক্যাশো গ্রোয়ার্স প্রোসেসর্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম বাণিজ্য এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আধুনিকভাবে উন্নতজাতের কাজুবাদামের চাষ এবং উৎপাদন শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি আফ্রিকা এবং ভিয়েতনাম থেকে বীজ এবং চারা এনে চাষীদেরকে দিচ্ছেন।
কাজুবাদামের চারা লাগানোর ৩ বছর পর থেকে ফল দেওয়া শুরু হয়। উৎপাদন ক্ষমতা ৩ থেকে ১০ টন। প্রতিটন ’র’ কাজুবাদামের রপ্তানি মূল্য প্রায় ১১০০ মার্কিন ডলার। গত বছর দেশে প্রায় ১০০০ টন কাজু বাদাম উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ টনই ভিয়েতনাম এবং ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
কাজুবাদাম চাষীর সংখ্যা এবং উৎপাদনের পরিমান প্রতি বছর প্রায় জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সংগঠন ২টির লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, টাঙ্গাইল, শেরপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং বরেন্দ্র এলাকায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমি কাজুবাদাম চাষের আওতায় এনে ১৫ লাখ টন কাজুবাদাম উৎপাদন করা। যার রপ্তানি মূল্য হবে প্রায় ১৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকা।
মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, গোটা বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে এবং জানে দর্জীর দেশ হিসেবে আর ভিয়েতনামকে চেনে বা জানে কাজুবাদামের দেশ হিসেবে। মাত্র ১৫ বছর আগে ভিয়েতনাম কাজুবাদামের চাষ শুরু করে আজ উৎপাদন, প্রোসেসিং এবং রপ্তানিতে ১ নম্বরে চলে গেছে। আমরাও চোখ-কান খোলা রেখে আন্তরিক হলে, কাজুবাদাম উৎপাদনে সহজেই ২য় স্থান দখল করতে পারব।
দেশের প্রত্যাশিত কাজুবাদাম প্রোসেসিং কারখানাগুলো স্থাপিত হলে ১৫ লাখ টন ’র’ কাজু প্রোসেস করে দ্বিগুন অর্থাৎ প্রায় ৩৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০০০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা দেশে আনতে পারব। অপরদিকে, কাজুবাদাম উৎপাদন এবং প্রোসেস করলে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান পণ্য পাওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে; কাজু জুস, সিএনএলএস বা কাজু বাদামের শেল বা খোসা, জৈব সার ও সিডিএম ফান্ড। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :