শিরোনাম
◈ ‘বুক কাঁপে না  মিথ্যাচার করতে?’ ট্রলের জবাবে  উপস্থাপিকা দীপ্তি ◈ এবার পশ্চিমাদের ওপর হামলার ইঙ্গিত পুতিনের ◈ পাঁচটি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা ◈ ৮ ক্রিকেটার ও এক কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি ◈ সাংবাদিকদের হত্যা মামলায় জড়ানো নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে আরএসএফ ◈ ‌‘যে কোনো সংস্কারের আগে জেনে নেবেন এ বিষয়ে মহান আল্লাহ ও তার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলে গেছেন’ ◈ পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ (ভিডিও) ◈ কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই: আনন্দবাজারকে জামায়াত আমির ◈ সংস্কার করে নির্বাচন না সংস্কার ছাড়া নির্বাচন, নানা মন্তব্য ◈ অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার চেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে দুই তরুণী আটক

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতাদের

সমীরণ রায় : [২] সংগঠনটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এক বিবৃতিতে আরও করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী ছুটির মধ্যে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য সরকারের ঘোষিত বরাদ্দকে প্রয়োজনের তুলনায় প্রহসনের শামিল।

[৩] বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ ও সেসব রাষ্ট্রের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ লক্ষ্য করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সব মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে গত ২৩ মার্চ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লাখ লাখ শ্রমিকের খাদ্য ও চিকিৎসা সুরক্ষার জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পূর্বে খাদ্য ও চিকিৎসা নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই শ্রমজীবী মানুষদের ঘরে থাকতে বলা হলো।

[৪] তারা বলেন, বর্তমানে একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়, অন্যদিকে অনাহারের আতঙ্ক শ্রমিকদের দিশেহারা করে ফেলছে। ফলে, ঘরে থাকা বা সামাজিক দূরত্বের শর্ত ভেঙে খাদ্য, ত্রাণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণার ১৮ দিন পরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যে বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় প্রহসনের শামিল। ঘোষিত বরাদ্দ মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫ কোটির অধিক শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ভাগ করলে মাথাপিছু মাত্র ১৫০ টাকা করে দাঁড়ায়। এ দিয়ে একজন শ্রমিকের ৪/৫ দিনের খাদ্য সংস্থানও হবে না।

[৪] নেতারা বলেন, কর্মহীনতার ২০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত না হওয়া দুঃখজনক। ন্যূনতম খাদ্যের সংস্থান নিশ্চিত না করে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরুত্ব রক্ষায় ঘরে থাকার আহ্বান অভুক্ত শ্রমজীবী মানুষের কাছে গুরুত্বহীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বেঁচে থাকর মতো ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

[৫] বুধবার বিকেলে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এসব দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়