ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] আইইডিসিআর এর হটলাইন নম্বরে বারবার কল দিয়ে নারী কন্ঠ পেয়ে অশ্লীল প্রস্তাব দেয়ায় নওগাঁয় মেহেদী হাসান (১৮) ও কুষ্টিয়া এলাকা থেকে এক কিশোরকে আটক করেছে সিআইডির সাইবার টিম।
[৩] এর অন্যতম কারণ হিসেবে আইইডিসিআরের সংশ্লিষ্টরা দুষছেন, প্র্যাঙ্ক কলারদের। যারা অহেতুক কল দিয়ে কলসেন্টারে থাকা নারীদের বিরক্ত করেন। ব্যস্ত রাখেন হটলাইনের নম্বরগুলি। কোনও কোনও সময় অশ্লীল কথোপকথনও হয় মাত্রাতিরিক্ত। এই প্র্যাঙ্ক কলাররা নারী কর্মীদের সঙ্গে যৌন হয়রানীমূলক আলাপ করার চেষ্টা করেন।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কল সেন্টারে যে নারীরা কাজ করেন, তাদের প্রতিদিন কম করে হলেও ২০০-২৫০টা কল রিসিভ করতে হয়। আর একেকটা কলে একেক রকম অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়। কখনও কখনও দাঁত চেপে হজম করতে হয় কলারদের গালাগালি, অশ্লীল আর যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা।
আইইডিসিআর'র এর হটলাইনে কাজ করা একজন চিকিৎসক মোহোনা খন্দকার মিতি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, হটলাইনে কাজ করার পর একটা উপলব্ধি হয়েছে যে, দেশের বহু মানুষের আসলে কোনও কাজই নাই এবং তাদের তেল অনেক বেশি। নাহলে মেয়ে কণ্ঠ শুনেই ‘আপনি বিয়ে করেছেন’, ‘আপনার বয়স কত’, ‘যৌবন ফিরে পাব কিভাবে’, ‘দুলাভাই কী করে’, ‘এই ফোন দিয়েছি এমনি, আপনার সাথে কথা বলার জন্য’, ‘আমাকে ফোন ব্যাক করেন, আপনার সাথে কথা বলতে চাই’ ইত্যাদি ব্যাপারগুলা ঘটতো না৷ সবথেকে বেশি অবাক হয়েছি সৌদি আরব থেকে একটা গ্রæপ লিটারেলি ১০ বারের উপর ফোন দিয়ে নানাভাবে বিরক্ত করছে। সমাজসেবা কঠিন জানতাম, তবে এতটা বেহায়াপনা দেখা লাগবে জানতাম না সত্যি।
[৫] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইডিসিআর'র আরেকজন নারী কর্মী আরটিভি অনলাইনকে জানান, এ ধরনের বাজে কল বেশি আসে রাতের দিকে। তারা ফোন দিয়ে বলেন, আপনারা রাতে কী খেয়েছেন। তার করোনা হয়নি, সে আমার বাসায় আসবে কি-না। বাসার ঠিকানাও চান তারা। ফোনের অপরপ্রান্তে নারী কণ্ঠ পেলেই এমন আচরণ করেন তারা।
[৬] এ বিষয়ে আইইডিসিআর'র এমআইএস শাখার পরিচালক ড মো: হাবিবুর রহমান বলেন, এমন অভিযোগ আমরা শুনেছি। এটা খুবই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যারা দোষী তাদের প্রয়োজনে ট্র্যাক করে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিব।
আপনার মতামত লিখুন :