শিরোনাম
◈ রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা টাকা না পাওয়ায় হোটেল ছাড়ছেন না ◈ ভারত থেকে চালবাহী দুটি জাহাজ এল মোংলা বন্দরে ◈ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের বিদেশগামীদের জন্য সতর্কবার্তা ◈ তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন জনপ্রশাসন সচিব ◈ ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ◈ পঞ্চম দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ◈ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার ◈ ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি বিপিএলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন ◈ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি পরিবর্তনের পেছনে ভারত-পাকিস্তানের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১২ সকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভয়ারণ্য করতোয়া পাখী শূন্য

নিউজ ডেস্ক : হাজারো পাখীর হাঁক-ডাকে মুখরিত পাখীদের অভয়ারণ্য সেই করতোয়া নদী এখন প্রায় পাখী শূন্য। এর কারণ হিসেবে অপরিকল্পিত কৃষি সেচ ব্যবস্থাকে দায়ি করছেন স্থানীয়রা। করতোয়া নদী সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নওগাঁ এলাকায়।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, করতোয়া নদী যেন শুকনো খালে পরিণত হয়েছে। আর যেখানে সামান্য পানি আছে, সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে নদীর আশ পাশের বোরো ধানের জমিতে পানি দেওয়া হচ্ছে। মাস খানেক আগেও নদীর যে স্থানটিতে রং-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখীসহ হাজার-হাজার বালিহাঁস দলে দলে পানিতে সাঁতার কাটতো, এখন পানি না থাকায় সেখানে দুইটি বালিহাস হেঁটে বেড়াচ্ছে। নদীর মধ্যে পুঁতে রাখা বাঁশের খুঁটিতে বসে আছে একটি ছোট পানকৌড়ি। আর খাবারের সন্ধানে ছুটোছুটি করছে একটি হলুদ কাঁদা খোঁচা পাখী।

স্থানীয় রঞ্জিত কুমার, সুজিত সরকার, আব্দুল কাদের, নায়েব আলী, ইদ্রিস আলী বলেন, খাবারের লোভে প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি চলনবিল এলাকায় আসে। তবে ঐ সময় বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখিরা জড়ো হতে থাকে করতোয়া নদীতে। বালিহাঁস, সাদা বক, ধূসর বক, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কাদা খোঁচা, মাছরাঙ্গা, সারসসহ বেশিরভাগ পাখী বছরের বাকিটা সময় সেখানেই থেকে যায়। তবে এবছর জমি মালিকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে নদীর পানিতে বোরো আবাদ করায় নদী শুকিয়ে গেছে। খাবার ও বাসস্থানের অভাবে পাখীরাও নদী থেকে চলে গেছে।

জমির মালিক সাজেদুল সরকার, রহিম মন্ডল, কাজেম আলী প্রমূখ বলেন, নদীতে সরকারি জায়গার সাথে তাদেরও জায়গা রয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের জমির কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া চৈত্র-বৈশাখ মাসে নদী এলাকার পানির স্তর বেশ নিচে চলে যায়। গভির নলকূপ স্থাপন করেও কাঙ্খিত পানি পাওয়া যায় না। অনেকটা নিরুপায় হয়েই তারা নদীর পানি ব্যবহার করে বোরো ধানের আবাদ করছেন।

এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফল নাহার লুনা জানিয়েছেন, নদীর পানি ব্যবহার না করেও প্রয়োজন মতো পানি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে তিনি সমতল থেকে মাটি খুরে একটু গভীরে সেচযন্ত্র স্থাপন করে জমি মালিকদের বোরো আবাদ করার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, পাখীদের নিরাপদ বাসস্থান ও অবাধ বিচরণের জন্য জনসচেতনতাই মূখ্য। করতোয়া নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র : ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়