মাসুদ আলম : [২] রোববার রাত ১০টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিট থেকে হ্যান্ডকাপসহ সুজন ওরফে শাকিল (২৫) নামে এক হাজতি পালিয়ে যায়।
[৩] সুজন যশোর কোতয়ালী থানার এক কিশোরী অপহরণ মামলার প্রধান আসামি। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর কাজীপাড়া মল্লিকবাড়ির রণজিৎ কুমার মল্লিকের ছেলে। গত কয়েক বছর ধরে যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা হাসান মুহুরির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক।
[৪] কোতয়ালী থানা পুলিশ জানান, সুজন গত ৪ এপ্রিল পুরাতন কসবার বাসিন্দা এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্কুলপড়ুয়া অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলে মেয়েটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তাকে ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু সুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতে দায়িত্বরত সেবিকা তাকে ওষুধ খাওয়ার জন্য গেলে পলায়নের বিষয়টি ধরা পড়ে। তার প্রহরায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরের দুই পাশে দুইজন পুলিশ ও চারজন কারারক্ষী ডিউটি করছিলেন। কিন্তু পেছনের জানালা ভেঙে পালানোয় তারা টের পাননি।
আপনার মতামত লিখুন :