আবুল বাশার নূরু : [২] যদিও গ্রাহকদের নিমন্ত্রণের কার্ড ছাপানোর কাজ শেষ করেছেন অনেকেই। দিয়েছেন মুড়ি-মুড়কি'সহ আনুসঙ্গিক উপকরণ সরবরাহের অর্ডারও। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
[৩] বাংলা বর্ষবরণ ও হালখাতা উৎসবকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছর এই সময়ে ভীষণ কর্মব্যস্ত থাকে রাজধানীর তাঁতীবাজার। দোকানের দেয়ালে দেয়ালে লাগে নতুন রং। মুখোশ, ঘুড়ি, একতারা আর রং বেরংয়ের কাগজের ফুলে দোকান সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করেন কর্মচারীরা। অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মব্যস্ত তাঁতীবাজারে এখন সুনশান নিরবতা।
[৪] সামাজিক সংক্রমণ রোধে দোকান বন্ধ করে বাজারের প্রবেশমুখে লাগানো হয়েছে তালা। বহিরাগতদের প্রবেশে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, হালখাতা উৎসবের জন্য এক-দেড় মাস আগে থেকে নিমন্ত্রণ কার্ড ছাপানো, আপ্যায়নে মিষ্টান্নের অর্ডারসহ নানা প্রস্তুতি শুরু হয়। এবার বাতিল সব আয়োজন। এ অবস্থায় নতুন বছরের ব্যবসা নিয়েও শঙ্কিত তারা।
[৫] ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা দু’দিন পর যে কিভাবে চলতে পারবো সেটা বুঝতে পারছি না। দোকোনের তালায় জং ধরে গেছে। আমরা মালিক সমিতি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার কোনো প্রোগ্রাম করবো না।
সরকারি ঘোষণার পর থেকে বন্ধ রয়েছে শাখারীবাজার, ইসলামপুর, বাংলাবাজার। তবে চালু রয়েছে চালের পাইকারি আড়ত বাবুবাজার। পাইকারি ক্রেতাদের আনাগোনায় সরগরম শ্যামবাজার। তবুও হালখাতা উৎসব করবেন না আড়তদাররা।
[৬] বাবুবাজার মেসার্স তাসলিমা রাইস এজেন্সির সত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, হালখাতা এ বছর নামও নেয়া যাবে না। তবে আমাদের হালখাতার প্রস্তুতি ছিলো।
সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :