শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১১ রাত
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রমজানের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ৯৫০ জাহাজ, শ্রমিকের অভাবে খালাস করা যাচ্ছে না

সমকাল : [২] করোনার কারণে কঠোর প্রশাসন। তাই দেশের বড় ৫৬ ঘাটে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। রমজানের জন্য আনা ছোলা, চিনি, ডালসহ প্রায় ১০ লাখ টন পণ্য নিয়ে সাগরে ভাসছে ৯ শতাধিক জাহাজ। এসব জাহাজে সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালও আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে শ্রমিক আসছে না ঘাটে। দিনের বেলা কোনো ঘাটেই পণ্য খালাস করতে পারছেন না তারা। কয়েকটি ঘাটে রাতের বেলায় সীমিত আকারে পণ্য খালাস করছেন তারা দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। রমজানের পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল খালাসে শিথিলতা চান তারা। অন্যদিকে প্রশাসন চাচ্ছে শ্রমিকদের নিরাপত্তা। পণ্য খালাস করতে গিয়ে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না বাড়ে সে জন্য শ্রমিকদের সুরক্ষা চায় তারা।

[৩] জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'করোনার সংক্রমণ কোথায় হবে আর কোথায় হবে না তা নিশ্চিত করে বলতে পারে না কেউই। এ জন্য ঘাটে শ্রমিক উপস্থিতিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রমজানের কথা বিবেচনা করে আমরা এখন কিছুটা শিথিল করেছি নিয়ম। শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করা যাবে ঘাটে। তবে এটি মনিটর করবে প্রশাসনের লোকজন। কারণ আগে জীবনের নিরাপত্তা, পরে অন্য কিছু।'

[৪] লাইটারেজ জাহাজের পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, 'শিল্প মালিকদের অধীনে কিছু লাইটারেজ জাহাজ আছে। তবে বেশিরভাগ জাহাজ চলছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের অধীনে। আমাদের অধীনে থাকা এক হাজার ২০০ লাইটারেজ জাহাজের মধ্যে প্রায় ৯৫০ জাহাজ এখন পণ্য নিয়ে ভাসছে বিভিন্ন ঘাটে। এসব জাহাজে প্রায় ১০ লাখ টন পণ্য আছে। দিনের বেলা কোনো ঘাটে পণ্য খালাস করতে পারছি না আমরা। তাই রাতের বেলা দ্বিগুণ মজুরিতে কিছু শ্রমিক নিয়ে কেউ কেউ সীমিত পরিসরে খালাস করছেন কিছু পণ্য। এভাবে চলতে থাকলে রমজান ও শিল্প খাতের পণ্য খালাসে অচলাবস্থা তৈরি হবে।'

[৫] বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, 'শিল্পের কয়েক লাখ টন কাঁচামাল ভাসছে সাগরে। এগুলো এখন খালাস না করা হলে রমজানের পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে সংকট তৈরি হবে লাইটারেজ জাহাজের। বিদেশি মাদার ভেসেলকেও প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে আমাদের।'

[৬] চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া কনটেইনারবিহীন পণ্যের প্রায় ৭৪ শতাংশই বহির্নোঙরে খালাস করা হয়। এর পরিমাণ গত অর্থবছরে ছিল প্রায় দুই কোটি ৬৭ লাখ টন। বহির্নোঙরে বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয় অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের লাইটারেজ জাহাজে। সেখান থেকে নৌপথে এই পণ্য নেওয়া হয় দেশের ৫৬টি ঘাটে।

[৭] চট্টগ্রামে এসব পণ্য খালাসে ১৬টি ঘাট রয়েছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, বাঘাবাড়ী, নগরবাড়ী, নিতাইগঞ্জ, এমআই সিমেন্ট, বসুন্ধরা, মিরপুর, আকিজ সিমেন্ট, স্ক্যান সিমেন্ট, আনোয়ার সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট, মেট্রো সিমেন্ট, সেভেন সার্কেল, সিয়াম সিটি, হোলসিম, মীর সিমেন্ট, ভৈরত, আশুগঞ্জ, কাটপট্টি, খুলনার মোংলা, নোয়াপাড়া, আবদুল মোনায়েম ঘাট, বরিশাল, ভোলা, দাউদকান্দি, ফরিদপুর, সিঅ্যান্ডবি ঘাট, কাঞ্চন ঘাট, রূপগঞ্জ, ধাপাঘাট, সিটি গ্রুপ, ছাতক, মোক্তাপুর, ঝালকাঠি, পায়রা, ফুলতলা, দেশবন্ধুঘাটসহ দেশের ৫৬টি পয়েন্টে পণ্য পরিবহন করা হয় এসব জাহাজ দিয়ে। সব ঘাটে এখন নজরদারি আছে প্রশাসনের।

[৮] বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কার্যক্রম তদারকি করা বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান একেএম শামসুজ্জামান রাসেল বলেন, 'বিভিন্ন ঘাটে প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপের কারণে পণ্য খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামের ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাসে এখন কিছুটা শিথিলতা থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।' বন্দরের বহির্নোঙরে বিদেশি ২৬টি বড় জাহাজ থেকে এখন পণ্য খালাস করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়