শিরোনাম
◈ রাজনীতিতে জাইমা রহমানের প্রবেশ নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে! ◈ ‘জাতির পিতা’ বিধান বিলুপ্তির সুপারিশ: সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের ◈ বেনজীরের বিতর্কিত বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ (ভিডিও) ◈ হঠাৎ ট্রাম্পকে যে কারণে ‘টোপ’ দিলেন জেলেনস্কি ◈ ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু, মোজাম্মেল হকের বাড়িতে র‌্যাব ◈ আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী পুলিশ সদস্যদের চাকুরীতে পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা পড়লেন বৈষম্যবিরোধীর নেতাকর্মীরা ◈ সেদিন গাজীপুরে কি ঘটেছিল? আহতদের মুখে ঘটনার বর্ণনা ◈ টিউলিপের নামে গাজীপুরে বাংলো, যা বলছে লেবার পার্টি

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইলে টাকা লেনদেনের চার্জ কমানোর দাবি গ্রাহকদের

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দিশাহারা মানুষ। দেশ জুড়ে প্রায় সব ধরনের লেনদেনে চলছে স্থবিরতা। শুধু চাঙ্গা বিকাশ, রকেট ও নগদের লেনদেন। করোনাভাইরাসের মধ্যেও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর আওতায় নিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠান লেনদেনের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার চার্জ করছে গ্রাহকদের।

[৩] গ্রাহকরা বলছেন, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নেও এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন লেনদেনে বেশি মাশুল কাটছে যা রিতীমত গ্রাহকদের প্রতি এক ধরনের অমানবিক আচরণ। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনের স্থবিরতাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগে অপব্যবহার করছে এসব প্রতিষ্ঠান।

[৪] প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ বর্তমানে ক্যাশ আউট করতে প্রতি হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা কাটে। আর ক্যাশ ইনে কোনো টাকা কাটে না। তবে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে টাকা পাঠাতে গেলে যে কোনো অংকের জন্য কাটে ৫ টাকা। রকেটেও প্রায় একই চিত্র।

[৫] রকেটে ক্যাশ আউটে ৯ টাকা এবং ক্যাশ ইনেও ৯ টাকা কাটে। সব মিলিয়ে টাকা উত্তোলন এবং জমার ক্ষেত্রে রকেটের একজন গ্রাহককে খরচ করতে হয় ১৮ টাকা।

[৬] এছাড়া এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে টাকা দেয়া-নেয়া করতে গেলে প্রত্যেক অংকের জন্য খরচ করতে হয় ৫ টাকা। তবে নগদে কিছুটা কম আছে। ক্যাশ আউটে নগদে প্রতি হাজারে কাটে সাড়ে ১৪ টাকা। ক্যাশ ইনে নেই। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বেলায় কাটে ৪ টাকা।

[৭] এক সাক্ষাতকার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুর রহমান বলেন, হাজারে ১৮ থেকে সাড়ে ১৮ টাকা সার্ভিস চার্জ এটা অযৌক্তিক। আর মহামারীর সময় তো মোটেও এমনটি করা উচিত নয়।

[৮] এবিষয়ে বিকাশের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘আমরা সেবার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে যে অর্থ নিই, তার বড় অংশই এজেন্ট, ডিলার, নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়। এটি এমন একটি সেবা, এজেন্ট ও ডিলারদের পর্যাপ্ত ইনসেনটিভ দেয়া না হলে তারা এ সেবা দিতে আগ্রহী হবেন না। এখান থেকে খুব বেশি লাভ থাকে না।

[৯] দ্রুত সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের মতে, অন্তত করোনাভাইরাসের এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক হওয়া উচিত। গলা কাটা চার্জ থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত।

সুত্র : যুগান্তর / ই.আ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়