শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৩৬ বছরে ৩৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ছোট্ট রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচ খুনিকে ফাঁসিতে ঝোলান জল্লাদ শাহজাহান। শনিবার মধ্যরাতে আরেক খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হলো। তার নেতৃত্বে ছিলেন আরও ক'জন জল্লাদ।

[৩] এর আগে জল্লাদ শাহজাহান যুদ্ধাপরাধী বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়েতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কর্যকর করেছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। তার যোগ্যতা দেখে ৮ বছর পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের আসন দেয়।

[৪] শাহজাহানের হাতে কার্যকর হওয়া ফাঁসির মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা শারমীন রীমা হত্যা মামলার আসামি খুকু-মনির (১৯৯৩), বহুল আলোচিত ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসান (১৯৯৭), খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদার (২০০৪), রংপুর জেলা কারাগারে ইয়াসমিন হত্যা মামলার আসামি এএসআই মইনুল হক ও আবদুস সাত্তার (২০০৪), দিনাজপুরে ইয়াসমিন হত্যা মামলার আরেক আসামি পিকআপ ভ্যানচালক অমৃত লাল বর্মণ (২০০৪), কাশিমপুর ও ময়মনসিংহে জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও ইফতেখার মামুন (২০০৭), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বজলুল হুদা, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দিন আহমেদ (২০১০) উল্লেখযোগ্য।

[৬] শাহজাহান একসময় চাকরি করতেন সেনাবাহিনীতে। আটক হয়ে ৩৬ মামলায় ১৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। সাজা কমার আশায় জল্লাদের খাতায় নাম লেখান শাজাহান। এরপর জল্লাদ হিসেবে এমন খ্যাতি কামিয়েছেন যে, দেশে তিনিই একমাত্র জল্লাদ যিনি একরাতেই দুই কারাগারে ৪ আসামিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন।

[৭] ১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে তার নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং আরো ৩৪টি হত্যা মামলা। বিচারকার্যে দেরি হওয়ার কারণে সাজা ছাড়াই তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১৭ বছর হাজতি হিসেবে কারাগারে থাকেন। ১৯৯৫ সালে তার সাজা হয় ১৪৩ বছর। পরে ১০০ বছর জেল মাফ করে তাকে ৪৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়। শাহজাহানের জেল থেকে বের হওয়ার তারিখ তার কার্ডের ওপর লেখা, ‘ডেট অব রিলিজ ২০৩৫’।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়