শিরোনাম
◈ মিরপুরে আবাসিক হোটেলে ঝটিকা অভিযানে নারী-পুরুষসহ আটজন গ্রেফতার ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ  ‘শাটডাউন’ ঘোষণা (ভিডিও) ◈ আলুর দাম ৪০০ টাকায় উঠে গেছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন : প্রেস সচিব ◈ সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান যেভাবে পালিয়ে যান লন্ডনে(ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে অস্থিরতা, ভারতে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার! ◈ ‘সবাই হাসেন আর আনন্দ করেন’, আদালত চত্বরে ইনু (ভিডিও) ◈ পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সম্পর্কে আর বাধা নেই ◈ একের পর এক দাবি সামাল দিতে বেসামাল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ বগুড়ার নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন আলুর কেজি ৪০০ টাকা! ◈ সচিবালয়ে অনশনে তিতুমীরের ১৪ ছাত্র, কলেজের ফটকে ফের অবরোধ

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্যবসায়ী দিশেহারা: ফুল খাচ্ছে গরু

বিপ্লব বিশ্বাস : [২]  করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশে চলছে লক ডাউন। মৌসুমে বৈশিক এই মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে ফুলচাষি ও ফুলকর্মীদের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। ২৩ মার্চ থেকে ফুলের বাজার বন্ধ। প্রতিবছর এ জেলার ফুলচাষিরা বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নর্ববর্ষ উদযাপন সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের যোগান দিয়ে থাকে। এ সময়ে ভালো লাভ পান কৃষকরা। এবছর স্বাধীনতা দিবসের আগে থেকে ফুল বেচাকেনা বন্ধ। এখনো সামনে রয়েছে বাংলা নববর্ষ। কিন্তু কৃষকের সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। ফুল বেচাকেনা না থাকায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছে এই স্বাম্ভানাময় ফুলচাষের সাথে জড়িতরা। বেশি বিপদে পড়েছে ফুলকর্মীরা যারা ফুল তোলা ও গাথার কাজ করে সংসারের খরচ যোগান দিত। আর এখন পকেটের টাকা খরচ করে ক্ষেত থেকে ফুল তুলে ফেলে দিতে হচ্ছে। অনেকে ফুল গবাদি পশুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করছে কৃষকরা।

[৩] ক’দিন আগে ও কালীগঞ্জ জেলের অধিকাংশ এলাকায় মাঠের পর মাঠ দোল যাচ্ছিল লিলিয়াম, গাঁদা, রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ ও গ্লাডিয়াসসহ নানা জাতের ফুল। ক’দিন আগেও এসব এলকার কৃষকরা ফুলের রঙে রঙিন স্বপ্নে বিভোর ছিল। তারা এখন জানালে ফুল নিয়ে চরম হতাশা আর দুঃস্বপ্নের কথা। এ কালীগঞ্জ উপজেলার শাহপুর ঘিঘাটির এক কৃষক জানান, এবছর আট বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছিলাম। অনেক জমিতে ফুল তোলা শুরু হয়েছিল। এখন ফুল বেচাকেনা বন্ধ। জমিতে ফুল পচে নষ্ট হচ্ছে। কিছু বাড়ি গবাদি পশু দিয়ে খাওয়াচ্ছি। অনেক জমির ফুল গাছ তুলে দিচ্ছি। ক’দিন আগেও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বালিয়াডাঙ্গা, লাউতলা ও কালীগঞ্জ মেইন বাসস্টান্ড দুপুর গড়ালে ফুলে ফুলে ভরে যেত। এসব বাজারে প্রতিনিদন দূর-দূরান্ত থেকে ফুল কিনতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আসতেন।

[৪] ফুলচাষি, ব্যাপরী আর ফুল কর্মীদের হাকডাকে মুখরিত থাকতো। সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটের বাসের ছাদে স্তুপ করে সাজানো হতো ফুল। ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বড় বড় শহরে ট্রাক-পিকআপ ও ভ্যান ভরে ফুল যেত। সেখানে এখন আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। একই রকম অবস্থা জেলার বড় ফুলের হাট গান্না বাজারের।

[৫] গান্না বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দাউদ হোসেন জানালেন, ফুলের ভরা মৌসুমে করোনার হানায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কবে নাগাদ ফুলের বেচাকেনা হবে তাও অনিশ্চিত। ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে ফুল গরু ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে ফুলচাষিরা চরম বিপদে পড়েছে। তারা ফুল বিক্রি করতে পারছেন না। আবার ক্ষেতে ফুল রাখতেও পারছেন না। বাধ্য হয়ে গরু ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছে। অনেকে ফুল তুলে দিচ্ছে। ফুলচাষ দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখলেও দ্রুত পঁচনশীল হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা যোগ করেন এই জেলা কৃষি কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়