সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিকইউনিয়ন বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি অবিলম্বে সংবাদকর্মীদের সুরক্ষাসহ তাদের বেতন-ভাতা প্রদানের জোর দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, ইতোমধ্যেই একাধিক গণমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তাদের পরিবারেরসদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এতে সারাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ গণমাধ্যম মালিকরা সংবাদকর্মীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছেন না। শুধু তাই নয়, সংবাদ কর্মীদের বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
[৩] বিবৃতিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, দেশের প্রায় সকল শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করছেন।বর্তমান আপৎকালে কাউকে চাকরি হারানোর ভয় না পাওয়ার জন্য আশ্বাস প্রদানও করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু গণমাধ্যম। এ পর্যন্ত গণমাধ্যম মালিক পক্ষ সংবাদকর্মীদের কোনো রকমের আশ্বাস প্রদান করেননি। তারা এ বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে সরকারের সাথে দেনদরবার করে যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার সুবিধা নেওয়ার জন্য। তথ্যমন্ত্রীর সাথে তাদের সর্বশেষ বৈঠকের পরও নোয়াব, বিএসপি,এ্যাটকো কিংবা এডিটর্স গিল্ডের কোনো দায়িত্বশীল নেতৃত্বকে এ বিষয়ে মিডিয়ায় কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি।
[৪] বিএফইউজে মনে করে, এর মানে হচ্ছে, গণমাধ্যমকর্মীদের মূল দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়া। গণমাধ্যমকে প্রণোদনা দেয়ার যৌক্তিক দাবির মূল কারণ, সংবাদকর্মীদের বকেয়াসহ চলতি মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করা এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করা। কিন্তু মালিক পক্ষ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ দিয়ে রাখায় সংবাদকর্মীদের জীবন-জীবিকায় চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।
[৪] তারা আরো বলেন, একদিকে জীবন-জীবিকার সংকট,অপরদিকে সংবাদপত্রের প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে অনলাইন চালু রাখা হচ্ছে। এতে বিপুলসংখ্যক সংবাদকর্মীর মনে চাকরি হারানোর আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায় করোনা বিস্তারের এই সময়ে সারাদেশের মাঠে-ঘাটে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সুরক্ষাসহ অবিলম্বে জরুরিভিত্তিতে তাদের বকেয়াসহ বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে মালিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৫] তারা বলেন, প্রনোদনার প্যাকেজ সুবিধা গণমাধ্যমকে প্রদান করা হলে তার শতকরা ৮০ ভাগ যাতে গণমাধ্যমকর্মীদের বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয় সে ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। অন্যথায় গণমাধ্যমের নামে প্রণোদনার প্যাকেজ সুবিধা করপোরেট স্টাইলে বন্টন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বর্তমান আপৎকালে সারাদেশের সংবাদকর্মীদের জন্য ইউনিয়নের দেয়া আর্থিক সহায়তার আবেদনটি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
[৬] শনিবার বিএফইউজের যুগ্মমহাসচিব আবুল মজিদের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :