সাদিকুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: [২] করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও এ ছুটির বাহিরে রয়েছে দেশের চা বাগানগুলো। এর ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয় চা বাগানে কাজ করছেন সাধারন চা শ্রমিকরা।
[৩] তাদের জীবন রক্ষায় অবিলম্বে চা বাগানে সাধারণ ছুটি ঘোষণার দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ২৩ টি চা-বাগানে একযোগে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারন চা শ্রমিকরা।
শনিবার সকাল ৯টায় সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে উপজেলার ২৩টি চা বাগানে মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
[৪] একই সাথে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই সময়ে দেশের ২৩০টি চা-বাগানে মানববন্ধনের এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
[৫] শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি চা বাগানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ি চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মনরঞ্জন পাল, সাধারন সম্পাদক রজব আলী, অর্থ সম্পাদক বাবুর কৈরী, সাবেক সভাপতি রবি বাউরী, রতন পাত্র, সাবেক ইউপি সদস্য শিতাংশু রঞ্জন পাল, সদস্য রতিশ, আব্বাছ মিয়া বাসু দেব কর্মকার, ছিকন বাউরী প্রমুখ।
[৬] একই সময়ে শমশেরনগর চা বাগানের কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নিপেন্দ্র বাউরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমকি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী।
[৭] একই সময়ে চাতলাপুর চা বাগান, মাধবপুর, পাত্রখোলা, ,ধলই, মদনমোহনপুর, কুরমা, চাম্পারায়, বাঘাছড়া, শ্রীগোবিন্দপুর, মদনমোহনপুরসহ কমলগঞ্জের ২৩ টি চা-বাগানে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
[৮] বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী সাংবাদিকদের বলেন, চা বাগান এলাকা অনেকটা অসচেতন। এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তারা মনে করেন চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন।
[৯] বাংলাদেশীয় চা সংসদের কর্তা ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে ভাল ব্যাখ্যা দিয়ে চা বাগানের সাধারণ ছুটি বন্ধ রেখেছেন। চা বাগানে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতদিন অপেক্ষার পর ৭ এপ্রিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ শনিবার সারাদেশের ২৩০টি চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
[১০] মানববন্ধন শেষে চা বাগানে সাধারণ ছুটির দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহেমদ